Class 6 Agriculture Assignment Answer 2022: Directorate of Secondary and Higher Secondary Education is published the class six agriculture assignment answer, work with solutions for the week of 6th on dshe.gov.bd.
Class 6 Agriculture Assignment 2022
DSHE is published the Class Six 6th Week Agriculture Assignment on dshe.gov.bd. Now, check the content and assignment for week 6.
6th Week Agriculture Assignment Questions:
Class: Six
Subject Name: Agriculture
Assignment Serial: Assginment-2
Unit No. and Unit Title:– আমাদের জীবনে কৃষি
Lesson no and Title:- পাঠ ২-৪
Assignment:প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রিনা বেগম ২০২০ সালে নিকলী উপজেলায় অনুষ্ঠিত ‘কৃষি মেলা’ দেখতে যান। তিনি মেলায় প্রদর্শিত কৃষিজাত পণ্য, বিভিন্ন ফসলের নানা জাতের চারা ও গাছের উন্নত ফলন দেখে কৃষি কাজের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নিজের পৈত্রিক জমিতে কৃষি কার্যক্রম পরিচালনা করতে আগ্রহী হন ।
কৃষি কার্যক্রম পরিচালনা করতে রিনা বেগম অভিজ্ঞ কৃষক, কৃষি মেলা, কৃষি শিক্ষা, কৃষি গবেষণা, কৃষি তথ্য ও সেবা প্রাপ্তির উৎসগুলো কিভাবে কাজে লাগাবেন?
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর এর মাধ্যমে তোমার মতামত উপস্থাপন করো-
রিনা বেগম কৃষি মেলায় কি কি কৃষিজাত পণ্য দেখতে পেয়েছিলেন ?
তার কৃষি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য কাদের নিকট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও সেবা পেতে পারে?
কৃষি বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ ও গবেষণা করতে কোন কোন প্রতিষ্ঠান ভূমিকা রাখতে পারে?
একজন অভিজ্ঞ কৃষক কিভাবে রিনা বেগম কে সহায়তা করতে পারেন?
একজন কৃষক ও একজন কৃষি বিজ্ঞানী কে তুমি কিভাবে আলাদা করবে?
3rd Week Agriculture Assignment
Class: Six
Subject Name: Agriculture
Assignment Serial: Assginment-1
Unit No. and Unit Title:– আমাদের জীবনে কৃষি
Lesson no and Title:-
Assignment:ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা গ্রামের আদর্শ কৃষক আবদুর রহিম নিজ বাড়িতে ২টি গাভী, ১টি ষাঁড়, ২০টি হাঁস ও ২০টি মুরগি পালন করেন। এ ছাড়াও বাড়ির আঙ্গিনায় বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ফলমূল এবং পুকুরে নানা ধরনের মাছ চাষ করে থাকেন। তিনি মনে করেন মৌলিক চাহিদাগুলাের অধিকাংশই তার কার্যক্রম থেকে পেয়ে থাকেন তুমি কী মনে কয় মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলাের সব কয়টি কৃষি কার্যক্রমের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব? যুক্তি দ্বারা তােমার মতামত উপস্থাপন কর
Class 6 Agriculture Assignment Answer 2022
DSHE is published the class six agriculture assignment answer for the week of 6th on dshe.gov.bd.
6th Week Agriculture Assignment Answer
Answers:
১. রীনা বেগম কৃষি মেলায় কী কী কৃষিজাত পণ্য দেখতে পেয়েছিলেন?
উত্তরঃ কৃষি বিষয়ক তথ্য পেতে কৃষি মেলার বিকল্প নেই। রীনা বেগম কৃষি মেলায় কৃষি কাজে ব্যবহৃত আধুনিক যন্ত্রপাতি, উপকরণ, উৎপাদিত কৃষিপণ্য, চারা, বীজ, সার, কৃষিবিষয়ক পুস্তিকা, বুলেটিন, লিফলেট ইত্যাদি কৃষিজাত পণ্য দেখতে পেয়েছিলেন।
২. তাঁর কৃষিকার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য কাদের নিকট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও সেবা পেতে পারে।
উত্তরঃ রীনা বেগম তাঁর কৃষিকার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছ থেকে কৃষি বিষয়ক তথ্য ও সেবা নিতে পারেন। তাছাড়া তিনি অভিজ্ঞ কৃষকের কাছ থেকেও পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন। অভিজ্ঞ কৃষক একজন স্থানীয় নেতা এবং একজন পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেন। কৃষি মেলা থেকেও প্রয়োজনীয় তথ্য ও সেবা নিতে পারেন কারণ কৃষি মেলায় কৃষি কাজে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকেন।
৩. কৃষি বিষয় শিক্ষা গ্রহণ ও গবেষণা করতে কোন কোন প্রতিষ্ঠান ভূমিকা রাখতে পারে?
উত্তরঃ কৃষি বিষয় শিক্ষা গ্রহণ ও গবেষণা করতে নিন্মলিখিত প্রতিষ্ঠানগুলো ভূমিকা রাখতে পারেঃ
কৃষিশিক্ষাঃ কৃষি শিক্ষা গ্রহণে বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসা শিক্ষায় কৃষিশিক্ষা যুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ১৬টি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট রয়েছে। তাছাড়া কারিগরি বোর্ডের একাডেমিক অধীনে থেকে ইনস্টিটিউটগুলোর চার বছর মেয়াদি কৃষি ডিপ্লোমা প্রদান করে থাকে। উচ্চতর কৃষি শিক্ষার জন্য বাংলাদেশ ৫টি সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এবং সেইসাথে দুটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি অনুদান চালু রয়েছে।
কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানঃ বাংলাদেশের অনেকগুলো কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বেশিরভাগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট ফসলের উপর গবেষণা করে থাকে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ধানের উন্নত জাত ও সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা করে। পাট উন্নয়ন এর জন্য রয়েছে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট। আখ উন্নয়নের জন্য রয়েছে বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট। কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান গুলো বিভিন্ন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসলের বীজ নতুন জাত উদ্ভাবনের পাশাপাশি কীটপতঙ্গের প্রতিকারসহ কৃষির নানা প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সক্ষম হয়েছে।
কৃষি বিজ্ঞানীঃ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যিনি গবেষণা করে নতুন নতুন জাত প্রযুক্তি আবিষ্কার করেন তিনি কৃষি বিজ্ঞানী। একজন কৃষি বিজ্ঞানীর নিকট কৃষি বিষয়ক নানা প্রকার তথ্য মজুদ থাকে। তারা নতুন ফসল ও প্রাণীর উন্নতজাত উৎপাদন ও সংরক্ষণ পদ্ধতি উদ্ভাবন করে দেশের কল্যাণ সাধন করছেন।
৪. একজন অভিজ্ঞ কৃষক কীভাবে রীনা বেগমকে সহায়তা করতে পারে?
উত্তরঃ অভিজ্ঞ কৃষক একজন স্থানীয় নেতা এবং একজন পরামর্শদাতা। অভিজ্ঞ কৃষকেরা কৃষি জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করেন। একজন অভিজ্ঞ কৃষক স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাদের সাথে যোগাযোগ রাখেন ও নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখেন। রিনা বেগম অভিজ্ঞ কৃষকের কাছ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কৃষি বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। তথ্য প্রযুক্তি যেমনঃ মোবাইল, ফেসবুক, ই-মেইল ব্যবহার করে অভিজ্ঞ কৃষকের কাছ থেকে কৃষি ফসল নিয়ে নানা সমসার সমাধান এবং ফসলের রোগ, নতুন নতুন বীজ সম্পর্কে জানতে পারেন।
৫. একজন কৃষক ও একজন কৃষি বিজ্ঞানীকে তুমি কীভাবে আলাদা করবে?
উত্তরঃ কৃষক একজন ব্যক্তিবিশেষ যিনি কৃষিকার্য পেশায় নিয়োজিত থেকে ফসল উৎপাদন করেন। পাশাপাশি তিনি খাবারের উপযোগী করে গৃহপালিত প্রাণী লালন-পালন করেন। সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকে এ পেশার মাধ্যমে কৃষক মানুষের জন্যে খাদ্য সরবরাহ করে জীবনকে চলমান রেখেছেন। কৃষক কৃষিজ পণ্য উৎপাদনে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকে।
কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যিনি গবেষণা করে নতুন নতুন জাত প্রযুক্তি আবিষ্কার করেন তিনি কৃষি বিজ্ঞানী। একজন কৃষি বিজ্ঞানীর নিকট কৃষি বিষয়ক নানা প্রকার তথ্য মজুদ থাকে। কৃষি বিজ্ঞানী কৃষি বিষয়ক সকল তথ্য দিয়ে কৃষকদের পরোক্ষভাবে সাহায্য করে থাকে।
3rd Week Agriculture Assignment Answer:
বাংলাদেশ কৃষিভিত্তিক দেশ। আমাদের জীবনে কৃষির গুরুত্ব অনেক। কারণ আমাদের মৌলিক চাহিদা যেমনঃ
ক) খাদ্য
খ) বস্র
গ) বাসস্থান
ঘ) শিক্ষা ও
ঙ) চিকিৎসা
সবগুলোই কৃষি থেকে পাওয়া সম্ভব। কারণ কৃষির পরিধি ব্যাপক। ফসল, পশু-পাঁখি, মৎস ও বনায়ন নিয়ে আমাদের কৃষি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কৃষি অতি লাভজনক ও সম্মানীয় একটি পেশা।
খাদ্য জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। আর এই খাদ্যের সবটুকুই আসে কৃষি থেকে। ধান, গম, আলু, শাকসবজি, ফলফলাদি, হাঁস মুরগী যেমন কৃষি থেকে পাই সেই সাথে প্রচুর পুষ্টিও পাওয়া যায়।
খাদ্যের পাশাপাশি আমাদের বস্রেরও প্রয়োজন। আর এই বস্রের চাহিদাও আমরা কৃষি থেকে পেয়ে থাকি। যেমন- কাপড় তৈরির জন্য রেশম, তুলা, পাঠ আমরা কৃষি থেকেই পাই।
বসবাসের জন্য আমাদের ঘর ও আসবাবপত্রের দরকার হয়। কাঠ, বাঁশ, খড়, শন, গোলপাতা ইত্যাদি থেকে আমরা গৃহনির্মাণ সামগ্রী ও আসবাবপত্র পাই। তাছাড়া, গাছের ডাল, বাঁশ, গবাদি পশুর গোবর জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
শিক্ষার বড় একটি অংশ কাগজ আমরা কৃষি থেকে পাই। বাঁশ, কাঠ, আখের ছোবড়া কাগজ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
চিকিৎসা আমাদের মৌলিক চাহিদার মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বর্তমানে ঔষধি ও ভেষজ চিকিৎসার প্রসার লাভ করেছে। আমলকি, হরতকি, বয়রা, থানকুনি পাতা, বাসক ইত্যাদি কৃষিজ উদ্ভিদ থেকে ঔষধ পাওয়া যায়। এছাড়াও পশু পাখি পালনের মাধ্যমে ডিম, দুধ, মাংস ও পুষ্টি চাহিদা আমরা মিটাতে পারি।
পরিশেষে বলা যায়, আমাদের মৌলিক চাহিদার সবগুলোই আমরা কৃষি থেকে পেয়ে থাকি। আশার কথা হলো বর্তমানে কৃষির পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ আগের থেকে বেশি কৃষির উপর মনোযুগী হচ্ছে। তরুণ যুবসমাজ নিজেদেরকে কৃষি পেশায় নিয়োজিত করে আর্থিকভাবে সাবলম্বী হচ্ছে।