Class 8 Bangla Assignment Answer 2021: Directorate of Secondary and Higher Secondary Education is published the Class eight Bangla subjects assignment questions with solutions on dshe.gov.bd.
Class 8 Bangla Assignment 2021:
Class Eight Bangla Assignment has been published. Lets check the content and assignment work.
9th week assignment question
Class: Eight
Subject: Bangla
No. of Assignment: 3rd
Chapter – কবিতা
Content- দুই বিঘা জমি (রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর)
Assignment Work-বর্ণনাধর্মী গদ্যে রুপান্তর। বিদীর্ণ হিয়া ফিরিয়া ফিরিয়া চারি দিকে চেয়ে দেখি……..ঝুঁটি-বাঁধা উড়ে সপ্তম সুরে পাড়িতে লাগিল গালি।“দুই বিঘা জমি” কবিতাটির উক্ত পঙুক্তিগুলো (৪৯-৬২) গদ্যে রূপান্তর
5th Week Bangla Assignment Questions
Class: Eight
Subject: Bangla
No. of Assignment: 2nd
Chapter – গদ্য
Content- এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম (শেখ মুজিবর রহমান)
Assignment Work- বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শিরোনামে ৫০০ শব্দের মধ্যে একটি প্রবন্ধ রচনা ।
১। প্রবন্ধের সংকেত: (ভূমিকা, জন্ম ও পরিচয়, শিক্ষাজ্জীবন, রাজনৈতিক জীবন, মুক্তযুদ্ধ সংঘটনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ, ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড, উপসংহার)
২। সাহিত্য কণিকা পাঠ্যবইয়ের সংশ্লিষ্ট পাঠ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পাঠ্যপুস্তক হতে তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে
1st Week Assignment Question
Class: Eight
Subject: Bangla
No. of Assignment: 1st
Chapter – গদ্য
Content- বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়
Assignment Work-রিনা ও মলি স্কুলে নতুন বই আনতে গিয়েছিল। বই নিয়ে বের হওয়ার সময় তারা স্কুল মাঠে একটি দামি মোবাইল পেল। বিষয়টি তারা তাদের বন্ধু রনিকে জানালো। এবং সকলেই একমত হল মোবাইলটি প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দিবে। কয়েকটি উপায়ে মোবাইলটি প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
Class: Eight
Subject: Bangla
No. of Assignment: 1st
Chapter – গদ্য
Content- বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়
Assignment Work-রিনা ও মলি স্কুলে নতুন বই আনতে গিয়েছিল। বই নিয়ে বের হওয়ার সময় তারা স্কুল মাঠে একটি দামি মোবাইল পেল। বিষয়টি তারা তাদের বন্ধু রনিকে জানালো। এবং সকলেই একমত হল মোবাইলটি প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দিবে। কয়েকটি উপায়ে মোবাইলটি প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
Class 8 Bangla assignment Answers:
The solutions for class eight bangla assignment are as follows:
9th Week Assignment Answer:
বর্ণনাধর্মী গদ্যে রুপান্তর
বিদীর্ণ হিয়া ফিরিয়া ফিরিয়া চারি দিকে চেয়ে দেখি……..
ঝুঁটি-বাঁধা উড়ে সপ্তম সুরে পাড়িতে লাগিল গালি।
“দুই বিঘা জমি” কবিতাটির উক্ত পঙুক্তিগুলো (৪৯-৬২) গদ্যে রূপান্তর
Answer:
“দুই বিঘা জমি” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি ব্যঙ্গাত্মক কবিতা। কবিতাটি রবীন্দ্রনাথের “চিত্রা” নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত করা হয়েছে। বাংলার গ্রামীণ সমাজের শ্রেণীবিভেদ আর দুর্বলের উপর সবলের অনাচার-অবিচার নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতাটি লিখেছেন। এই কবিতায় গরীব শ্রেণীর অসহায়ত্বের দিক দেখানো হয়েছে।
উপেন, একজন গরিব কৃষক। তার যে জমি জমা ছিল, তার মধ্যে দুই বিঘা জমি ছাড় সব ঋণের দায়ে তাকে হারাতে হয়েছে। তার সম্বল এখন ভিটেমাটির ওই দুই বিঘা জমি। কিন্তু উপেনের ভাগ্য কখনই তাকে সঙ্গ দেয়নি। জমিদারবাবুর এত জমি থাকা সত্ত্বেও নজর পড়ে উপেনের ওই দুই বিঘা জমির উপর। বাবু উপেনের জমি কিনতে চান। উপেন বলে, “এই দেশের মালিক আপনি, জায়গার অভাব নেই কিন্তু আমার এই জায়গাটি ছাড়া ঠাঁই নেই।” উপেন দুই হাত জোড় করে বাবুর কাছে মিনতি করল তার জমিটি যেন না নেয়। এতে বাবু রেগে গিয়ে চোখ গরম করে চুপ করে থাকেন। মাসের প মাস মিথ্যে ঋণের দায়ে উপেনের প্রতি আদালতের হুকুম জারি করা হল। ঋণের দায়ে উপেনের জমি বিক্রি হয়ে গেল। সেই সম্বল ভিটেমাটি হারিয়ে উপেন নিঃস্ব হয়ে ঘুরতে লাগলো। এভাবে অনেক বছর কেটে যায়। অনেক তীর্থস্থান, শহর-গ্রাম সে বিচরণ করে কিন্তু উপেন তার দুই বিঘা জমির কথা ভুলতে পারেনা। তাই মাতৃভূমির টানে উপেন একদিন নিজ গ্রামে ফিরে আসে। গ্রামে এসে নিজ বাড়ির সামনে এসে দেখে সেখানে আগের কোনাে চিহ্ন নেই। উপেনের মন বিষন্ন হয়ে পড়ে। নিজ বাড়িতে এসে সে স্মৃতি কাতর হয়ে পড়ে। তার চোখ জলে ভরে যায়। অবশেষে তার চোখে পড়ে ছেলেবেলার সেই আমগাছটি। স্মৃতিময় সেই আমগাছটি দেখে তার সব দুঃখ দূর হয়ে যায়। ক্ষুদার্থ উপেন আম গাছের নিচে বসে সে তার ছেলেবেলার কথা ভাবতে থাকে। এমন সময় তার কোলের কাছে দুটি আম ঝরে পড়ে। উপেন ভাবে আমগাছটি তাকে চিনতে পেরে দুটি আম উপহার দিয়েছে। কিন্তু আম দুটি হাতে নিতেই বাগানের মালি লাঠি নিয়ে হাজির। মালিকে উপেন বলল, আমি তো নীরবে আমার সব দিয়েছি। এই আম দুটি না হয় আমার অধিকার মনে করেই নিলাম। কিন্তু মালি উপেনকে চিনতে পারলো না। গালিগালাজ করে উপেনকে ধরে বাবুর কাছে নিয়ে যায়। মালির কাছ থেকে সব শুনে বাবুও উপেনকে গালি দিল। তাকে মারতে চাইল। উপেন হাতজোড় করে বাবুর কাছে আম দুটি ভিক্ষা চাইল। কিন্তু বাবু উপেনকে সাধুবেশে চোর বলে সম্বােধন করে। বাবুর এমন কথা শুনে উপেনের দুচোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। বহু বছর আগে যেমন বাবু উপেনের সব কেড়ে নিয়েছিল, আজও প্রকৃতির দেওয়া উপহার দুটি আমও উপেনের ভাগ্যে জুটল না।
এভাবে সমাজে অনেক উপেন শোষণের স্বীকার। ক্ষমতাধর লোভী অত্যাচারী শাসকের রক্তচক্ষুর শাসানির যাতাকলে পরে অনেক উপেনকে হতে হয় ভিটামাটি ছাড়া , পেতে হলে অপবাধ, লাঞ্ছনা। সমাজের প্রভাবশালী মানুষ গরীব দুঃখী খেটে খাওয়া মানুষদের ধন সম্পদ আত্মসাৎ করে ধনী হয়। তাই তাদের সম্পদের প্রতি লােভের কারণে তারা নিজেদের মানবতাকে বিসর্জন দিয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিতেও দ্বিধা করে না।
5th Week Bangla Assignment Answer
Question Part: বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শিরোনামে ৫০০ শব্দের মধ্যে একটি প্রবন্ধ রচনা ।
Answer:
ভূমিকা
হে বন্ধু বঙ্গবন্ধু, তোমার কালো ফ্রেমের চশমাটা আমায় দাও, আমি চোখে দিয়ে দেখব, তুমি কেমন করে দেশটাকে এতো ভালোবাসো।
বিভিন্ন জাতির শ্রেষ্ঠ পুরুষ থাকে। তেমনই বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ পুরুষ হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালির শ্রেষ্ঠতম অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আর এই স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের সঙ্গে যার নাম চিরস্মরণীয় হয়ে আছে, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নিপীড়িত জাতির ভাগ্যাকাশে যখন দুর্যোগের কালােমেঘ, তখনই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শেখ মুজিবুর রহমানের গৌরবময় আবির্ভাব। অসাধারণ দেশপ্রেম ও দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে তিনি সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন।
জন্ম ও পরিচয়
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ গােপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শেখ লুৎফর রহমান, মা সায়েরা খাতুন। দুই ভাই, চার বােনের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পিতা-মাতার তৃতীয় সন্তান। পারিবারিক আনন্দঘন পরিবেশে টুঙ্গিপাড়ায় তার শৈশব-কৈশােরের দিনগুলাে কাটে।
শিক্ষাজীবন
গিমাডাঙ্গা প্রাইমারি স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পর তিনি গােপালগঞ্জ মিশন হাইস্কুলে ভর্তি হন এবং এই স্কুল থেকে ১৯৪১ সালে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯৪২ সালে এনট্র্যান্স পাশ কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে আইন পড়ার জন্য ভর্তি হন। কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে ১৯৪৪ সালে আইএ এবং ১৯৪৬ সালে বিএ পাশ করেন তিনি। ১৯৪৬ সালে ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রসংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান ক্রমেই নেতা মুজিবে বিকশিত হতে থাকেন। ১৯৪৭-এ দেশ বিভাগের পর তিনি আইন পড়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
রাজনৈতিক জীবন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রাহমানের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৩৯ সালে মিশনারি স্কুলে পড়ার সময়। স্কুলের ছাদ সংস্কারের জন্য একটি দল গঠন করে নিজ নেতৃত্বে তিনি শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের নিকট দাবি পেশ করেন।১৯৪০ তিনি নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে এক বছরের জন্যে যুক্ত হন। পরবর্তীতে ১৯৪২ সালে এনট্র্যান্স পাশ কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে আইন পড়ার জন্য ভর্তি হন।
কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে (বর্তমান নাম মাওলানা আজাদ কলেজ) পড়া থেকেই তিনি সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি বেঙ্গল মুসলিম লীগে যোগ দান করার সুবাধে তিনি বাঙালি মুসলিম নেতা হুসেইন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সান্নিধ্যে আসেন। একটি পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র গড়ে তোলার আন্দোলন নিয়ে তিনি ১৯৪৩ সালে বঙ্গীয় মুসলিম লীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান পৃথক হওয়ার পর হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা শুরু হয়। মুসলিমদের রক্ষা করার জন্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোহরাওয়ার্দীর সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক তৎপরতায় যুক্ত হন। এরপর ঢাকায় ফিরে এসে ১৯৪৮ সালের জানুয়ারির ৪ তারিখে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রধান ছাত্রনেতায় পরিণত হন।
মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা
জেনারেল ইয়াহিয়া খান ১লা মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার প্রতিবাদে শেখ মুজিবুর রহমান ৩রা মার্চ অসহযােগ আন্দোলনের ডাক দেন। ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভায় বঙ্গবন্ধু ঘােষণা করেনঃ
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
২৫ মার্চ কালরাত্রিতে পাকবাহিনীর হত্যাযজ্ঞে সারা বাংলাদেশের মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এমনি অবস্থায় গ্রেফতারের আগ মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বাধীনতার ঘােষণা দেন তা ওয়ারলেসের মাধ্যমে প্রাপ্ত হয়ে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ. হান্নান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে পাঠ করলে সারাদেশে ব্যাপক আলােড়ন সৃষ্টি হয়। পূর্ব বাংলা রেজিমেন্টের মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হয়ে ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। যা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রচার করে, ফলে বিশ্ব বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ঘোষণা সম্পর্কে জানতে পারে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ
১৪ ডিসেম্বর যৌথবাহিনী ঢাকার মাত্র ১৪ কিলােমিটার দূরে অবস্থান গ্রহণ করে। ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বাংলাদেশে অবস্থিত পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজি হাজার হাজার উৎফুল্ল জনতার সামনে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন। প্রায় ৯৩,০০০ পাকিস্তানি সৈন্য আত্মসমর্পণ করে, যা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সর্ববৃহৎ আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় বিজয়। এই দিনে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বিশ্বমানচিত্রে জন্ম নেয় নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশ। তাই ‘বিজয় দিবস আমাদের আত্মমর্যাদার ও আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতীক।
ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড
বাংলাদেশের বিজয়ের পর ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দেওয়া হয়। দেশে ফেরার পর ১২ই জানুয়ারি তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাসনভার গ্রহন করেন। এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তােলার কাজে আত্মনিয়ােগ করেন। কিন্তু পরাজিত হায়েনার দল তার সাফল্য ও বাঙালির উত্থানকে মেনে নিতে পারেনি। তাই আবার শুরু হয় ষড়যন্ত্র। দেশ যখন সকল বাধা দূর করে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন দেশীয় ষড়যন্ত্রকারী ও আন্তর্জাতিক চক্রের শিকারে পরিণত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সামরিক বাহিনীর তৎকালীন কিছু উচ্চাভিলাষী ও বিপথগামী সৈনিকের হাতে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন। তাই বাঙালি জাতি প্রতিবছর ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করে।
উপসংহার
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে যার নাম উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতাে দীপ্যমান তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর দূরদশী, বিচক্ষণ এবং সঠিক নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি এবং স্বাধীন বাঙালি জাতির জনক। জেল-জুলুম ও নির্যাতনের কাছে তিনি কখনাে মাথা নত করেননি। বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে অস্বীকার করার শামিল। ‘বঙ্গবন্ধু’ ও ‘বাংলাদেশ’ আজ সমগ্র বাঙালি জাতির কাছে এক ও অভিন্ন নাম।
1st Week Bangla Assignment Answer
রিনা ও মলি স্কুলে নতুন বই আনতে গিয়েছিল। বই নিয়ে বের হওয়ার সময় তারা স্কুল মাঠে একটি দামি মোবাইল পেল। বিষয়টি তারা তাদের বন্ধু রনিকে জানালো। এবং সকলেই একমত হল মোবাইলটি প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দিবে। কয়েকটি উপায়ে মোবাইলটি প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
Answer:
প্রথমে সহপাঠীদের মধ্যে যে মোবাইল ব্যবহারে পটু তার শরণাপন্ন হতে হবে। যদি মোবাইলটির সিকিউরিটি পিন না দেওয়া থাকে তাহলে মোবাইলে সম্প্রতি কল লিস্টের তালিকা থেকে কাউকে কল করে জানানো যেতে পারে যে স্কুল মাঠে আপনার পরিচিত কোন ব্যক্তির মোবাইল পাওয়া গিয়েছে। এতে করে প্রকৃত মোবাইল মালিকের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।
যদি মোবাইলটির সিকিউরিটি পিন দেওয়া থাকে তাহলে, মোবাইলটি যেহেতু স্কুল মাঠে পাওয়া গিয়েছে তাই বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানোটাই শ্রেয়। এতে করে প্রকৃত মোবাইল মালিককে খুঁজে পাওয়া যাবে কারণ মোবাইল মালিক অবশ্যই মোবাইলের খোঁজে স্কুলে আসবেন এবং উপযুক্ত প্রমান দিয়ে মোবাইলটি নিয়ে যাবেন।
যদি স্কুল কর্তৃপক্ষ এতে অনাগ্রহ পোষণ করে তাহলে সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করে সবার মন্তব্য নেওয়া যেতে পারে। নিজেদের সততা ধরে রাখতে হবে। প্রয়োজনে কাগজে লিখে এলাকাভিত্তিকভাবে প্রচার করা যেতে পারে যে, স্কুল মাঠ একটি মোবাইল পাওয়া গিয়েছে। যেহেতু মোবাইলটি দামি তাই প্রচার করা মাত্রই অনেকে লোভের বশবর্তী হয়ে মোবাইলের ভুয়া মালিক বলে দাবি করতে পারে। তাই কিছু প্রশ্ন (যেমন মোবাইলের মডেল কি, রং কি, কবে কোথায় মোবাইলটি হারিয়েছে) করে উত্তর যাচাইয়ের মাধ্যমে মোবাইলটি আসল মালিকের কাছে হস্তান্তর করা যেতে পারে। যদি মালিকের নিকট থেকে মোবাইলটি বুঝে পেলাম এই মর্মে স্বীকারোক্তি নেওয়া যায় তাহলে তা অতি উত্তম।