Class 8 Charu o Karu Kola Assignment Answer: Directorate of Secondary and Higher Secondary Education is published the class eight charu o karukola assignment work, solutions, answers for the 8th week on dshe.gov.bd.
Class 8 Charu o Karukola Assignment 2021:
DSHE is published the class eight 8th week assignment for the subject of Charu o Karu Kola. Lets check the assignment work and questions.
8th Week Charu o Karu Kola Assignment Questions
Class: Eight
Subject: Charu o Karu Kola
No. of Assignment: 2nd (Second)
Chapter No- দ্বিতীয় অধ্যায় (বাংলাদেশের অদ্ভুদয়ে চারুশিল্প ও শিল্পীরা)
Content- চারু ও কারুকলা ইনস্টিটিউট, শহীদ মিনার ও ছয় দফা, আলপনা, নবান্ন ও বাংলা নববর্ষ, স্বাধীনতা ও বিপ্লবী চিত্রের মিছিল।
Assignment Work- সর্বজনীন উৎসব হিসেবে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের জন্য তোমার পরিবার/এলাকায় কী ধরনের উৎসবের আয়োজন করতে পারবে তার একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন কর । সংকেত:
০১। বাংলা নববর্ষকে কেন সার্বজনীন বলতে পারি-ব্যাখ্যা কর।
০২। বাংলা নববর্ষ কীভাবে উদযাপন কর?
০৩। তোমাদের এলাকায় বৈশাখী মেলা হয় কী না! হলে কী ধরনের পণ্য মেলায় বিক্রি হয়?
4th Week Charu o Karu Kola Assignment
Class: Eight
Subject: Charu o Karu Kola
No. of Assignment: 1st
Chapter No- প্রথম অধ্যায় (বাংলাদেশের প্রাচীন শিল্পকলা ও ঐতিহ্যের পরিচয়)
Assignment Work- গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে কারুশিল্পের ব্যবহার এবং তার নান্দনিক দিকগুলি মূল্যায়ন করো।
সংকেত
১. কোন কোন ক্ষেত্রে কারুশিল্পের ব্যবহার করা হয় তা চিহ্নিত কর। (যেমন : কুলা, ডালা…)
২. কি কি উপকরণ ও কিভাবে নান্দনিক রূপ দেয়া হয় তা উল্লেখ করো।
Class 8 Charu o Karu Kola Assignment Answer 2021
DSHE is published the charu o karu kola assignment answer on dshe.gov.bd. This is the 8th Week solutions for Charu o Karu Kola Assignment.
8th Week Charu o Karo Kola Assignment Answers:
The assignment work for the 8th of charu o karu kola is-
সর্বজনীন উৎসব হিসেবে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের জন্য তোমার পরিবার/এলাকায় কী ধরনের উৎসবের আয়োজন করতে পারবে তার একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন কর । সংকেত:
০১। বাংলা নববর্ষকে কেন সার্বজনীন বলতে পারি-ব্যাখ্যা কর।
০২। বাংলা নববর্ষ কীভাবে উদযাপন কর?
০৩। তোমাদের এলাকায় বৈশাখী মেলা হয় কী না! হলে কী ধরনের পণ্য মেলায় বিক্রি হয়?
Answer:
১। বাংলা নববর্ষকে সার্বজনীন উৎসব বলার কারণ ব্যাখ্যা করা হলঃ
“হে নূতন, এসাে তুমি সম্পূর্ণ গগন পূর্ণ করি/পুঞ্জ পুঞ্জ রূপে” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঠিক এইভাবেই বাংলা বছরের নতুন দিনকে আহ্বান জানিয়েছেন। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত, মাসের পর মাস গড়িয়ে আসে পহেলা বৈশাখ। চৈত্র অবসানে বর্ষ হয় শেষ। আসে নতুন বছর নববর্ষ। পৃথিবীর সর্বত্রই নববর্ষ একটি ‘ট্রাডিশন’ বা প্রচলিত সংস্কৃতিধারা। আদিকাল থেকেই যে কোনাে বছরের প্রথম দিনটি ‘নববর্ষ’ নামে পরিচিত হয়ে আসছে। বাঙালির নববর্ষ এক অনন্য বৈশিষ্ট্যময় উৎসব । কেননা পৃথিবীতে প্রচলিত অধিকাংশ বর্ষপঞ্জির উৎপত্তি কোনো না কোনো ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত । কিন্তু বাংলা নববর্ষের সঙ্গে ধর্মীয় অনুষঙ্গ নেই। মূলত কৃষিকাজ ও খাজনা সংগ্রহের ব্যবস্থাকে ঘিরে এর প্রচলন । পরে এর সঙ্গে যুক্ত হয় ব্যবসা-বাণিজ্যের দেনা-পাওনার হিসাব মেটানো । দিনে দিনে পহেলা বৈশাখ হয়ে ওঠে এক সার্বজনীন সাংস্কৃতিক আনন্দ উৎসব। নববর্ষ কোন নির্দিষ্ট জাতি বা গোত্রের জন্য নয়। বরং এটি সবার জন্য।
২। বাংলা নববর্ষ যেভাবে উদযাপন করা হয়ঃ
পহেলা বৈশাখ বাংলার জনসমষ্টি অতীতের সুখ-দুঃখ ভুলে গিয়ে নতুনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ওঠে। জানে এ নতুন অনিশ্চিতের সুনিশ্চিত সম্ভাবনায় পরিপূর্ণ। তাই মন সাড়া দেয়, চঞ্চল হয়। নতুনকে গ্রহণ করার প্রস্তুতি নেয়। আর সে দিন প্রাত্যহিক কাজকর্ম ছেড়ে দিয়ে ঘরবাড়ি ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে। আটপৌরে জামা কাপড় ছেড়ে ধােপদুরস্ত পােশাক-পরিচ্ছদ পরে, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করে পানাহারে মেতে ওঠে। রমনার বটের তলায় জড়াে হয়ে গান গায়, হাততালি দেয়। সবকিছু মিলে দেশটা যেন হয়ে ওঠে উৎসবে আনন্দে পরিপূর্ণ। এছাড়াও এদেশের স্থানীয় কতকগুলাে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষের বৈশিষ্ট্যসমূহ ফুটে ওঠে। যেমন : মেঘের কাছে জল ভিক্ষা করা’, ‘বার্ষিক মেলা’, ‘পুণ্যাহ’, ‘হালখাতা’ ইত্যাদি।
নববর্ষের উৎসব গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে ওতপ্রােতভাবে জড়িত, ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। নববর্ষে পল্লি অঞ্চলের কোথাও কোথাও বেশ বর্ণাঢ্য মেলা বসে। মেলার বিচিত্র আনন্দ-অনুষ্ঠানে, কেনা-বেচার বাণিজ্যিক লেনদেনে, মিলনের অমলিন খুশিতে, অবারিত আন্তর প্রীতির স্পর্শে নববর্ষের বিশেষ দিনটি মুখর হয়ে ওঠে। এই পুণ্য দিনেই শুরু হয় ব্যবসায়ীদের হালখাতার শুভ মহরত। প্রায় প্রতি বিক্রয়প্রতিষ্ঠানেই ক্রেতাদের মিষ্টান্ন সহযােগে আপ্যায়ন করা হয়। সর্বত্রই এক মধুর প্রীতিপূর্ণ পরিবেশ। এ ছাড়া দরিদ্র ভােজনে, নৃত্য-গীতে, সভা-সমিতিতে, আনন্দে-উৎসবে বছরের প্রথম দিনটি মহিমােজ্জ্বল হয়ে ওঠে। গৃহস্থরাও নানাবিধ অনুষ্ঠানব্রতে পুণ্য দিনটিকে স্মরণীয় করায় মেতে ওঠে। পল্লির কোথাও কোথাও রচিত হয় নববর্ষ উদযাপনের উৎসব-মঞ্চ। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
৩। নববর্ষকে উৎসবমুখর করে তােলে বৈশাখী মেলা। এটি মূলত সার্বজনীন লােকজ মেলা। এ মেলা অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে হয়ে থাকে। আমাদের এলাকাতেও বৈশাখী মেলা হয়ে থাকে। স্থানীয় কৃষিজাত দ্রব্য, কারুপণ্য, লােকশিল্পজাত পণ্য, কুটির শিল্পজাত সামগ্রী, সকলপ্রকার হস্তশিল্পজাত ও মৃৎশিল্পজাত সামগ্রী এই মেলায় পাওয়া যায়। এছাড়া শিশু-কিশােরদের খেলনা, মহিলাদের সাজ-সজ্জার সামগ্রী এবং বিভিন্ন লােকজ খাদ্যদ্রব্য যেমন : চিড়া, মুড়ি, খই, বাতাসা ইত্যাদি, বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি প্রভৃতির বৈচিত্র্যময় সমারােহ থাকে। মেলায় বিনােদনেরও ব্যবস্থা থাকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লােকগায়ক ও লােকনর্তকদের উপস্থিতি থাকে। তারা যাত্রা, পালাগান, কবিগান, জারিগান, গাজীর গানসহ বিভিন্ন ধরনের লােকসঙ্গীত, বাউল-মারফতি-মুর্শিদি-ভাটিয়ালি ইত্যাদি বিভিন্ন আঞ্চলিক গান পরিবেশন করেন। লাইলী-মজনু, ইউসুফ-জোলেখা, রাধা-কৃষ্ণ প্রভৃতি আখ্যানও উপস্থাপিত হয়। চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, নাটক, পুতুলনাচ, নাগরদোলা, সার্কাস ইত্যাদি মেলার বিশেষ আর্কষণ। এছাড়া শিশু-কিশােরদের আকর্ষণের জন্য থাকে বায়ােস্কোপ।
আজ উৎসবের অঙ্গে যুগ-পরিবর্তনের ছাপ স্পষ্ট। উৎসবে যেখানে একদা হৃদয়-আবেগের প্রাধান্য ছিল, ছিল প্রীতিময় আন্তরিকতা, আজ কৃত্রিমতা তাকে গ্রাস করেছে। সেখানে হৃদয়হীন আচার-অনুষ্ঠানের মাতামাতি। চোখ-ঝলসানাে চাকচক্য আজ উৎসবের বৈশিষ্ট্য। নাগরিক সভ্যতার যান্ত্রিকতা আজ আমাদের হৃদয়-ঐশ্বর্য লুণ্ঠন করেছে।
4th Week Charu o Karo Kola Assignment Answers:
আদিকাল থেকেই চারু ও কারুকলার উপর নির্ভর করে জীবনযাপন করে আসছে বহু মানুষ। পেশা হিসেবেই তারা শিল্পকর্মকে বেছে নিয়েছে। তবে বর্তমান আধুনিক সভ্যতায় এসে আদিকালের মত এইসব শিল্পকর্ম তেমন চোখে না পড়লেও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কারুশিল্পের ব্যাবহার চোখে পড়ার মত। নান্দনিক আর রুচিশীল কারুশিল্পের বাহারিসব শিল্প মনকে একদিকে যেমন আন্দোলিত করে অন্যদিকে অনুষ্ঠানে এনে দেয় ভিন্ন একমাত্রা।
কারুশিল্প ব্যাবহারের ক্ষেত্র
আমাদের দেশে কারুশিল্পের ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় বেড়েছে এর ক্ষেত্রও। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অনেক চারুকলা ও কারুশিল্প প্রতিষ্ঠান। নিচে যেসবক্ষেত্রে কারুশিল্পের ব্যবহার করা হয় তা উল্ল্যেখ করা হল:
১) বাংলা নববর্ষ
২) গায়ে হলুদ
৩) বই-পুস্তকের ছবি আঁকা
৪) খবরের কাগজ
৫) সিনেমাশিল্পে
৬) পোশাকশিল্পে
৭) ওষুধশিল্পে
৮) ইন্টিরিয়র ডিজাইন
৯) স্থাপনাশিল্প
১০) নকশিকাঁথা
১১) জামদানি
উপকরণ ও নান্দনিক রুপ
কারুশিল্পে অনেক উপকরণ ব্যাবহার করা হয়। মানুষের রুচি ও চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে কারুশিল্পের উপকরণে এসেছে নানা বৈচিত্র্য। নিচে কয়েকটি উপকরণের নাম ও এর নান্দনিক রুপ উল্ল্যেখ করা হল:
১. ডালা-কুলাঃ বর্তমানে ডালা-কুলার নান্দনিক ব্যবহার যেন প্রাচীন ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দেয়। আমাদের দেশের নিয়ম হচ্ছে, গায়ে হলুদে পাঠানো হয় ডালা, কুলা, মিষ্টি, পান-সুপারি, মাছ ও বর-কনেসহ পরিবারের বৃদ্ধদের জন্য কাপড়। গায়ে হলুদের পোশাক কেমন হবে, তার ওপর ভিত্তি করে হলুদের কুলা-ডালা সাজানো হয়।
২. পোশাকঃ পোশাক গায়ে হলুদের মাত্রাকে ফুটিয়ে তোলে বহুগুনে। আমাদের দেশের গায়ে হলুদের প্রচলিত পোশাকের মধ্যে রয়েছে হলুদ পাঞ্জাবি এবং হলুদ রঙের শাড়ি। আর এইসব পোশাকে বাহারি ডিজাইন ও কারুশিল্পের নিপুন কারুকার্য দেখা যায়।
৩. নকশি পিঠাঃ গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে হরেক রকমের খাবারের মধ্যে নকশি পিঠা সকলের মনকে আন্দোলিত করে। চালের আটা রুটির মতো পুরু করে বেলে নিয়ে খেজুর কাঁটা অথবা বাঁশের ছিলকা দ্বারা বিভিন্ন ডিজাইনের নকশি পিঠা তৈরি করা হয়। তারপর তেলে ভেজে চিনি অথবা গুড়ের সিরায় ভিজিয়ে পরিবেশন করা হয়।
৪. আলপনাঃ আলপনা একটি জনপ্রিয় লোকচিত্র। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে আলপনা বিশেষ একটি স্থান দখল করে আছে। হিন্দু-মুসলিম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও আলপনা দেওয়ার রীতি রয়েছে। বিশেষ করে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে ঘরের মেঝেতে আলপনা স্থান পায়। এতে নান্দনিক চেতনারই প্রতিফলন ঘটে।
৫. ইনটেরিয়র ডিজাইনঃ গায়ে হলুদের মঞ্চে কারুশিল্পের ব্যবহার দেখা যায়। বসার সোফা অথবা কারুকাজ করা চেয়ার, ফুল, কাপড় রজনীগন্ধা, গাঁদা, গোলাপ, অর্কিড, বেলী, জারবেলা ইত্যাদি ফুল ব্যবহার করে তৈরী করা হয় গায়ে হলুদের মঞ্চ।