Class 9 Agriculture Assignment Answer 2021: Directorate of Secondary and Higher Secondary Education is published the class nine agriculture assignment work with solutions, answer for the week of 8th on dshe.gov.bd.
Class 9 Agriculture Assignment 2021
DSHE is published the Class nine 8th Week Agriculture Assignment on dshe.gov.bd. Now, check the content and assignment for week 8:
8th Week Agriculture Assignment Questions:
Class: Nine
Subject Name: Agriculture
Assignment Serial: Assginment-2
Unit No. and Unit Title:– কৃষি প্রযুক্তি
Lesson no and Title:- ৪র্থ থেকে ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ (প্রথম অধ্যায়)
Assignment: একজন ধানচাষী চটের বস্তায় ধানের বীজ সংরক্ষণ করে বীজতলায় বপন করলে খুব কম সংখ্যক বীজ অংকুরিত হয়। অন্যদিকে একজন দুগ্ধ খামার মালিক বছরব্যাপী তার গাভীগুলোকে কাঁচা ঘাস সরবরাহ করেন । কিন্তু হঠাৎ বন্যার কারণে তার গাভীগুলো মারাত্বক খাদ্য সংকটে পড়ে । উপরোক্ত ধানচাষী ও দুগ্ধ খামারী কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে বীজ ও ঘাস সংরক্ষণ করলে এ সংকটে পড়তেন না। এ ব্যাপারে তোমার মতামতসহ একটি প্রতিবেদন তৈরি কর
3rd Week Agriculture Assignment Questions:
Class: Nine
Subject Name: Agriculture
Assignment Serial: Assginment-1
Unit No. and Unit Title:– প্রথম অধ্যায়
Assignment: তোমার এলাকার প্রধান প্রধান ফসলের নাম উল্লেখ পূবক ফসল সমূহ চাষের কারণ ও সেগুলোর জন্য জমি প্রস্ততির বিবরণ উল্লেখ করে একটি প্রতিবেতন তৈরি কর
Class 9 Agriculture Assignment Answer 2021:
DSHE is published the class nine agriculture assignment answer for the week of 8th on dshe.gov.bd.
8th Week Agriculture Assignment Answer
The assignment work for the 8th Week Agriculture subject is- একজন ধানচাষী চটের বস্তায় ধানের বীজ সংরক্ষণ করে বীজতলায় বপন করলে খুব কম সংখ্যক বীজ অংকুরিত হয়। অন্যদিকে একজন দুগ্ধ খামার মালিক বছরব্যাপী তার গাভীগুলোকে কাঁচা ঘাস সরবরাহ করেন । কিন্তু হঠাৎ বন্যার কারণে তার গাভীগুলো মারাত্বক খাদ্য সংকটে পড়ে । উপরোক্ত ধানচাষী ও দুগ্ধ খামারী কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে বীজ ও ঘাস সংরক্ষণ করলে এ সংকটে পড়তেন না। এ ব্যাপারে তোমার মতামতসহ একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
Answers:
ধানচাষীর সমস্যাঃ বীজ ভীষণ অনুভূতি প্রবণ । একটু অসর্তকতার জন্য বিপুল পরিমানে বীজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ কারণে একজন ধান চাষী চটের বস্তায় ধানের বীজ সংরক্ষণ করে বীজতলায় বপন করলে খুব কম সংখ্যক বীজ অংকুরিত হয়।
ধানচাষীর ব্যবস্থা গ্রহণঃ ধানচাষী ধানের বীজ সংরক্ষণে যে যে ব্যবস্থা নিলে তিনি সংকটে পড়তেন না তা নিম্নে দেওয়া হলঃ
(১) বীজ শুকানো ও চটের বস্তায় সংরক্ষণঃ তিনি যদি বীজকে রোদে শুকিয়ে আদ্রতা ১২ থেকে ১৩ শতাংশে আনতেন। অতঃপর বীজগুলোকে চটের বস্তায় বস্তাবন্দি করে গোলা ঘরে রাখতেন । তাহলে বীজে পোকার উপদ্রব হতো না।
(২) ধান গোলায় সংরক্ষণঃ ধান সংরক্ষণের জন্য ধানের গোলা ব্যবহার করা হয়। বীজগুলো এমন ভাবে ভরতে হয় যেন এর ভিতর কোন বাতাস না থাকে।
(৩) ডোলে সংরক্ষণঃ ধান সংরক্ষণের জন্য ডোল ব্যবহার করতে পারতেন। তবে ডোল আকারে , ধান গোলার চেয়ে ছোট। তাই ডোলের বীজের ধারণ ক্ষমতা কম।
(৪) পলিথিন ব্যাগে সংরক্ষণঃ ৫ কেজি ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট পলিথিন ব্যাগে বীজ সংরক্ষন করা হয়। শুকনো বীজ এমনভাবে পলিথিনে রাখতে হবে যেন কোন ফাঁকা না থাকে এবং ব্যাগে কোন বাতাস না থাকে।
(৫) মটকায় সংরক্ষণঃ মটকা মাটি নির্মিত একটি গোলাকার ক্ষেত্র। মটকার ভিতর শুকনো বীজ পুরোপুরি ভর্তি করা হয়। অতঃপর ঢাকনা দিয়ে বন্ধ করে উপরে প্রলেপ দিয়ে বায়ুরোধক করা হয়।
(৬) ধানের বীজ রাখার নতুন পদ্ধতি, ইরি কোকুনঃ বেশ বড় আকারের রাবারের একটি ব্যাগ। ওই ব্যাগের মুখ আটকে রাখলে তার মধ্যে কোনো আর্দ্রতা ঢুকতে পারে না। ফলে সবকিছুই থাকে সতেজ। ব্যাগটির মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ মণ ধান রাখা ঘায়। এটাকেই বলা হয় ‘ইরি কোকুন’ ধানের বীজ সংরক্ষণের জন্য খুলনার ডুমুরিয়ার বারাতিয়া ও শরাফপুর গ্রামের কৃষকেরা এখন ইরি কোকুনে ধান রাখা শুরু করেছেন। ইরি কোকুন হলো বাংলাদেশে ব্যবহৃত বীজ সংরক্ষণে কৃষির সর্বশেষ প্রযুক্তি । এটি একটি ব্লাডারের মতো পাত্র, যেটিতে বীজ রাখলে বড় হয়। এতে বাইরে থেকে বাতাস ঢুকতে পারে না। ফলে বীজে আদ্রতার পরিমাণ ঠিক থাকে এবং পোকামাকড়েরও কোনো আক্রমণ হয় না। এটি বাড়ির উঠানে রাখলেও রোদ, বৃষ্টি, খরায় বীজের কোনো গুণগত মান নষ্ট হয় না। এই বীজের অঙ্কুরোদ্গম ক্ষমতা খুব বেশি। এটি ফিলিপাইন, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশে আগে ব্যবহৃত হতো।
দুগ্ধ খামার মালিকের সমস্যাঃ একজন দুগ্ধ খামার মালিক বছরব্যাপী তার গাভীগুলোকে কাচা ঘাস সরবরাহ করেন। কিন্তু হঠাৎ বন্যার কারণে তার গাভীগুলো মারাত্বক খাদ্য সংকটে পড়ে।
দুগ্ধ খামার মালিকের ঘাস সংরক্ষণে ব্যবস্থা গ্রহনঃ দুগ্ধ খামারী যদি ৩টি উপায়ে ঘাস সংরক্ষণ করতেন বা খাদ্য সংরক্ষণ করতেন তাহলে তিনি খাদ্য সংকটে পড়তেন না।
উপায় গুলো নিম্মরুপঃ
(১) হে তৈরির মাধ্যমে সবুজ ঘাস সংরক্ষণ করলেঃ হে তৈরির বিভিন্ন ধাপ গুলো নিম্নে দেয়া হলঃ
- (ক) হে তৈরীর জন্য সিম গোত্রীয় ঘাস যেমন, সবুজ খেসারি ,মাসকলাই বেশি উপযোগী।
- (খ) ফুল আসার সময় গাছ কাটতে হয়।
- (গ) ঘাস রোদে শুকিযে আদ্রতা ১৫-২০% এর মধ্যে রাখতে হয় ।
- (ঘ) ঘাস শুকিয়ে মাচার উপর স্তূপাকারে বা চালা যুক্ত ঘরে সংরক্ষন করতে হয়।
(২) সাইলেজ তৈরীর মাধ্যমে সবুজ ঘাস সংরক্ষণ করেঃ সবুজ সাইলেজ তৈরির ধাপগুলো নিন্মরূপঃ
- (ক) সাইলেজ তৈরির জন্য ভুট্টা ,নেপিয়ার, গিনি ঘাস বেশি উপযোগী।
- (খ) ফুল আসার সময় রসালো অবস্থায় গাছ কাটতে হয়।
- (গ) গাছ কেটে বায়ু নিরোধক স্থানে বা সাইলো পিটে রাখা হয়।
- (ঘ) সাইলো পিটে ঘাস রাখার সময় ঝোলাঞুড়ের দ্রবণ ছিটিয়ে দিতে হয় ।
- (ঙ) তারপর বায়ু চলাচল বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়।
(৩) খড় তৈরীর মাধ্যমে ফসলের বজ্য সংরক্ষণ করাঃ
আমাদের দেশে বেশির ভাগ কৃষক পরিবারে গরুর জন্য খাদ্য হিসেবে খড় ব্যবহার করা হয়। গরুকে দৈনিক ৩-৪ কেজি শুকনা খড় দেওয়া হয়। এটি আশ জাতীয় খাদ্য। নিম্নে খড় তৈরির ধাপ গুলো দেওয়া হলঃ
- (ক) শস্যগাছ (ধান ,ভুট্টা, খেসারি ইত্যাদি গাছ) ক্ষেত থেকে কাটার পর সেগুলো মাড়াই করে শস্যদানা আলাদা করে ফেলা হয় ।
- (খ) বজ্য গাছগুলো রোদে শুকিয়ে আদ্রতা ১৫ থেকে ২০% এর মধ্যে এনে খড় তৈরি করা হয়।
- গ) খড় সাধারণত গাদা করে রাখা হয় ।
3rd Week Agriculture Assignment Answers 2021
Questions Part: তোমার এলাকার প্রধান প্রধান ফসলের নাম উল্লেখ পূবক ফসল সমূহ চাষের কারণ ও সেগুলোর জন্য জমি প্রস্ততির বিবরণ উল্লেখ করে একটি প্রতিবেতন তৈরি কর
Answer:
ফসলের চাষ মাটির উপর নির্ভর করে। মাটিভেদে ফসলের চাষ পদ্ধতি ভিন্ন হয়। যেমন এটেল ও এটেল দো-আঁশ মাটিতে ধান ভালো জন্মে অন্যদিকে দোআঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে গম, পাট, আলু ও টমেটো ভালো জন্মে।
প্রধান ফলসলের নাম ও চাষের কারণ
আমাদের এলাকায় গম, পাট ও আলু প্রধান ফসল। কারণ হল উপকূলীয় অঞ্চলের মাটি ধান, পাট, আলু ও টমেটো ভালো জন্মে। উপকূলীয় অঞ্চলের মাটি দো-আঁশ, বেলে ও পলি দো-আঁশ। যা ধান, পাট, আলু ও টমেটো চাষের জন্য খুবই ভালো।
পাট চাষের জন্য জমি প্রস্তুত পদ্ধতি
পাট চাষের জন্য দোআঁশ মাটি উপযুক্ত। তাছাড়া ফলনের জন্য সার, পানি, আগাছা ও ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্য রাখতে হবে জমিতে যেন বৃষ্টির পানি জমে না থাকে। তাই উঁচু ও মধ্যম জমি হলে ভালো। পাট চাষের জন্য জমি প্রস্ততির বিবরণ নিন্মে দেওয়া হলঃ
বৃষ্টিপাতের পরপরই আড়াআড়ি ৫ থেকে ৭ বার চাষ দিয়ে জমি তৈরি করতে হবে।
ইউরিয়া সার প্রয়োগের আগে নিড়ানি দিয়ে জমিকে আগাছামুক্ত করতে হবে।
জমির ঢেলা গুড়ো করতে হবে।
গম চাষের জন্য জমি প্রস্তুত পদ্ধতি
দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি গম চাষের জন্য সর্বোত্তম। এবং উঁচু ও মাঝারি জমি বেশি উপযোগী।গম চাষের জন্য জমি প্রস্ততির বিবরণ নিন্মে দেওয়া হলঃ
সেচ এলাকায় পূর্ববর্তী ফসল কাটার পর মাঠ ডিস্ক বা ছাঁচ বোর্ড লাঙ্গল দিয়ে অনুসৃত চাষ করা উচিত।
ঝুরঝুরা মাটি গম অঙ্কুরোদগমের জন্য খুবই উপযোগী। ৩ থেকে ৪ বার আড়াআড়ি জমি চাষ দেয়ার পর কয়েকবার মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরা করতে হবে।
চাষ সন্ধ্যায় সম্পন্ন করতে হবে এবং লাঙ্গল দেয়া জমি শিশির আর্দ্রতায় সারারাত খোলা রাখতে হবে।
প্লাঙ্কিং খুব ভোরে সম্পন্ন করতে হবে।
অজৈব ক্ষেত্র থেকে দূষণ এড়াতে ১০-৩০ মিটার প্রস্থ একটি বাফার জোন রাখা উচিৎ।
আলু চাষের জন্য জমি প্রস্তুত পদ্ধতি
আলু চাষের জন্য বেলে দো-আঁশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী। নিচু এলাকায় বর্ষার পানি নেমে গেলে আশ্বিন মাস হতে আলু চাষের জন্য জমি প্রস্তুতির কাজ শুরু করা হয়। আলু চাষের জন্য জমি প্রস্ততির বিবরণ নিন্মে দেওয়া হলঃ
আলুর জমি ৫-৬ বার চাষ ও বার কয়েক মই অথবা পাওয়ার টিলার দ্বারা ৩-৪ বার আড়াআড়ি চাষ দিয়ে মাটি ঝুরঝুরা এবং সমান করে জমি প্রস্তুত করা হয়।
জমি ভালোভাবে চাষ ও মই দেওয়ার পর জমি সমান করে বীজ বপনের জন্য জমির এক মাথা থেকে অন্য মাথা পর্যন্ত নালা করতে হবে। প্রত্যেকটি নালা প্রায় ১০-১২ সে.মি. গভীর করতে হবে।
একটি নালা থেকে আর একটি নালার দূরত্ব হবে ৬০ সে.মি.। অতঃপর নালার মধ্যে ১৫ সে.মি. দূরে দূরে বীজ বুনে দিতে হয়।
টমেটো চাষের জন্য জমি প্রস্তুত পদ্ধতি
আলো-বাতাসযুক্ত উর্বর দো-আঁশ মাটি টমেটো চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো। তবে উপযুক্ত পরিচর্যা বেলে দো-আঁশ থেকে এঁটেল দো-আঁশ সব মাটিতেই টমেটোর ভালো জন্মে। মাটির অম্লতা ৬-৭ হলে ভালো হয়। মাটির অম্লতা বেশি হলে জমিতে চুন প্রয়োগ করা দরকার। টমেটো চাষের জন্য জমি প্রস্ততির বিবরণ নিন্মে দেওয়া হলঃ
জমিতে ৪-৫ বার মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরা করে নিতে হবে।
গ্রীষ্মকালে টমেটো চাষের জন্য ২০-২৫ সে.মি. উঁচু এবং ২৩০ সে.মি. চওড়া বেড তৈরি করতে হবে।
সেচ দেওয়ার সুবিধার্থে ২ টি বেডের মাঝে ৩০ সে.মি. নালা রাখতে হবে।
পরিবেশ ও ফসল অনুযায়ী সঠিকভাবে জমি প্রস্তুতি যেমন আশানুরূপ কৃষি উৎপাদন নিশ্চিত করে, তেমনিভাবে ফসলের গুণাগুণও অক্ষুণ্ণ রাখে। বীজের অঙ্কুরোদগম থেকে শুরু করে বীজ গজানোর সঠিক ভৌত অবস্থা সৃষ্টি, পুষ্টি উপাদান এবং রাসায়নিক ও জৈবসারের মিশ্রণ সবকিছু জমি প্রস্তুতি দ্বারা প্রভাবিত হয়। বলাবাহুল্য, ফসল উৎপাদনের জন্য জমি প্রস্তুতি, নির্বাচিত ফসল, মৃত্তিকা বৈশিষ্ট্য, কৃষি পরিবেশ অঞ্চল এবং সর্বোপরি খামারের ধরণ প্রকৃতির উপর বিশেষভাবে নির্ভর করে।