Class 9 Science Assignment Answer 2021: Directorate of Secondary and Higher Secondary Education is published the class nine science subject assignment questions with solutions, answer on dshe.gov.bd.
Class 9 Science Assignment 2021
Class Nine Science Assignment has been published by dshe. Lets check the content and assignment work for last week.
5th Week Science Assignment
Class: Nine
Subject: Science
No. of Assignment: 2nd
Chapter – দ্বিতীয় অধ্যায় জীবনের জন্য পানি
Content- পরিচ্ছেদ নং- ২.১.১ থেকে ২.৯
Assignment Work- উপরের গ্লাসের পানিতে কয়েকটি দূষক পদার্থ (যেমন : অদ্রবণীয় ময়লা-আবর্জনা, বালি, লবণ ইত্যাদি) মেখাও। এখন এই দূষিত পানিকে বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে বিশুদ্ধ কর।
ক) পানি বিশুদ্ধকরণ সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি লিখে উপস্থাপন কর।
খ) গ্রাসে তৈরিকৃত দূষিত পানি বিশুদ্ধ না করে পান করলে তোমার কী কী সমস্যা হতে পারে? বিশ্লেষণ কর।
1st Week Science Assignment
Class: Nine
Subject: Science
No. of Assignment: 1st
Chapter – উন্নততর জীবনধারা
Content- খাদ্য ও পুষ্টি
Assignment Work-
১। বৃহস্পতিবার প্রমার আম্মু চাল, ডাল, উদ্ভিজ্জভােজ্য তেল, সবজি এবং মাংস মিশিয়ে খিচুড়ি রান্না করলেন। বিকেলে প্রমা পেয়ারা খেতে খেতে তার আব্বকে বললাে যে কাল তারা বাইরে বেড়াতে যাবে এবং বাইরে খাবে। কথামত শুক্রবারে তারা বাইরে গিয়ে দুপুরে ফ্রাইড রাইস, ফ্রাইড চিকেন, সফট ড্রিংক এবং বিকেলে বার্গার খেলাে।
ক) প্রমার গৃহীত খাবারগুলাের মধ্যে কোন খাবারটি ভিটামিন E সমৃদ্ধ?
খ) উল্লেখিত খাবারগুলাের মধ্যে কোন খাবার উদ্ভিজ্জ উৎস ও কোন কোন খাবার প্রাণিজ উৎস থেকে পাওয়া তা ছকের মাধ্যমে দেখাও?
গ) বৃহস্পতিবার প্রমার গৃহীত খাবারের একটি সুষম খাদ্য পিরামিড এঁকে উপস্থাপন কর?
ঘ) প্ৰমার স্বাস্থ্য রক্ষায় কোন দিনের খাবারটি অধিকতর সহায়ক? যুক্তিসহকারে বিশ্লেষণ কর?
২. শিক্ষার্থী হিসেবে তোমার ২৪ ঘণ্টার একটি রুটিন তৈরি কর এবং সেখানে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো উপস্থাপন কর।
ক) তিনবেলার খাবার, টিফিন ও বিকালের নাস্তা
খ) বিশ্রাম (ঘুম) ও শরীরচর্চা
গ) সারাদিনের কার্যাবলী (পড়ালেখা, ঘরের কাজ, বাইরের কাজ ইত্যাদি)
ঘ) খেলাধুলা (বাড়িতে)
ঙ) প্রার্থনা
চ) অবসর
Class 9 Science Assignment Answer 2021
5th Week Assignment Answer
Questions: উপরের গ্লাসের পানিতে কয়েকটি দূষক পদার্থ (যেমন : অদ্রবণীয় ময়লা-আবর্জনা, বালি, লবণ ইত্যাদি) মেখাও। এখন এই দূষিত পানিকে বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে বিশুদ্ধ কর।
Answer Part:
(ক) ভূপৃষ্ঠে আমরা যে পানি পান করি তাতে বিভিন্ন রকমের রাসায়নিক পদার্থ এবং রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু থাকতে পারে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই পানি পান করার পূর্বে তা বিশুদ্ধ করা প্রয়োজন।
উদ্দীপকে বর্ণিত গ্লাসে অদ্রবণীয় ময়লা-আবর্জনা,বালি, লবন ইত্যাদি মেশানো হয়েছে। ফলে গ্লাসের পানিতে দূষিত হয়েছে। নিচে গ্লাসের পানি কিভাবে বিশুদ্ধ করা যায় তার একটি প্রক্রিয়া উপস্থাপন করা হলো।
পদ্ধতির নামঃ পরিস্রাবণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পানি বিশুদ্ধকরণ
পরিস্রাবণ হলো তরল আর কঠিন পদার্থের মিশ্রণ থেকে কঠিন পদার্থকে আলাদা করার একটি প্রক্রিয়া। পানিতে অদ্রবণীয় ধুলাবালির কণা থেকে শুরু করে নানা রকম ময়লা-আবর্জনার কণা থাকে। এদেরকে পরিস্রবন করে পানি থেকে দূর করা হয়। এটি করার জন্য পানিকে বালির স্তরে মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করা হয়, তখন পানিতে অদ্রবণীয় ময়লার কণাগুলো বালিতে আটকে যায়। এভাবে পরিস্রাবণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্লাসের পানি দূষণ মুক্ত করা যায়।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ত্রিপদী স্ট্যান্ড, ফানেল, ফিল্টার, কাগজ, নারানী, তারজালি
পদ্ধতি
একটি ফিল্টার কাগজ নিয়ে প্রথমে সমান চার ভাগ করি। এরপর একদিকে তিন ভাগ ও অন্যদিকে ১ ভাগ রেখে ফানেলের ভেতরে বসিয়ে দেই। ফিল্টার কাগজটিকে পরিষ্কার পানি দিয়ে অল্প করে ভিজিয়ে নেই যাতে করে এটি সরে না যায়।
ফানেলটি স্ট্যান্ড এর সাথে যুক্ত রিং এর উপর বসাই। এরপর ফানেলের নিচে একটি বিকার রাখি। অতঃপর অপরিষ্কার গ্লাসের পানিটি মিশ্রণটি ফিল্টার পেপার এর উপর আস্তে আস্তে ঢেলে দেই।
যতক্ষণ পর্যন্ত ফানেল থেকে পরিষ্কার পানি পড়া শেষ না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করি। এরপর লক্ষ্য করলাম গ্লাসে অদ্রবণীয় ময়লা-আবর্জনা বালি ও লবণ ফিল্টার পেপার কাগজের উপরে আটকে আছে।
ময়লা আবর্জনা বালিকণা গুলো ফিল্টার কাগজ দিয়ে মাটি ও পানির মিশ্রণ থেকে আলাদা করার এই প্রক্রিয়া নাম হল পরিস্রবণ প্রক্রিয়া।
(খ) পানি বিশুদ্ধ না করে পান করলে যে যে সমস্যা হতে পারেঃ
নদ-নদী, পুকুর খাল-বিল এবং ভূগর্ভের উৎসের পানি দূষিত হলে মানুষের উপর নানারকম ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে এমনকি কখনো কখনো সেগুলো মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। দূষিত পানি পান করলে নানা রকমের পানিবাহিত রোগ যেমন: টাইফয়েড, কলেরা, আমাশয় সংক্রামক হেপাটাইটিস-বি এসকল জীবন ধ্বংসকারী রোগ হতে পারে। তাছাড়া এসব রোগের জীবাণু পানির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে মহামারী আকার ধারণ করতে পারে। পানিতে যদি ক্ষতিকর ধাতব পদার্থ যেমন পারদ, সিসা, আর্সেনিক থাকে তাহলে ওই পানি পান করলে মানুষের শরীরে নানা ধরনের রোগ হতে পারে। পারদ ত্বকের ক্যান্সার ও মস্তিষ্ক বিকলাঙ্গ করে দিতে পারে। সিসা শরীরে রক্তশূন্যতা, কিডনি বিকল করে দিতে পারে। তাছাড়া আর্সেনিক ত্বক ও ফুসফুসের ক্যান্সার ও পাকস্থলীর বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে। দূষিত পানি একদিকে যেমন মানুষের শরীরের ক্ষতি করছে অন্যদিকে প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। পানি দূষণকারী জৈব পদার্থ যেমন গোবর গাছপালার ধ্বংসাবশেষ খাদ্যের বর্জ্য এগুলো পানিতে পচে গিয়ে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে। এর ফলে পানিতে অক্সিজেন কমে যায়। অক্সিজেনের পরিমাণ একেবারে শূন্যে নেমে আসলে তখন পানিতে বসবাসকারী মাছ সহ সকল প্রাণী অক্সিজেনের অভাবে মারা যায়। সুতরাং সকল কানি জন্য বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
1st Week Assignment Answer
Questions No- 1 (Answer)
ক) প্রমার গৃহীত খাবারগুলাের মধ্যে কোন খাবারটি ভিটামিন E সমৃদ্ধ?
Answer: প্রমার গৃহীত খাবারগুলোর মধ্যে উদ্ভিজ্জভোজ্য তেল খাবারটি ভিটামিন E সমৃদ্ধ। উদ্ভিজ্জভোজ্য তেল ভিটামিন ই এর ভালো উৎস।
খ) উল্লেখিত খাবারগুলাের মধ্যে কোন খাবার উদ্ভিজ্জ উৎস ও কোন কোন খাবার প্রাণিজ উৎস থেকে পাওয়া তা ছকের মাধ্যমে দেখাও?
Answer: প্রমার উল্লেখিত খাবারগুলোর মধ্যে কিছু খাবার উদ্ভিজ্জ এবং কিছু খাবার প্রানিজ উৎস থেকে পাওয়া যায়। নিচে উদ্ভিজ্জ উৎস ও প্রানিজ উৎস খাদ্যের তালিকা দেওয়া হলঃ
উদ্ভিজ্জ উৎস | প্রাণিজ উৎস |
১। চাল | ১। মাংস |
২। ডাল | ২। ফ্রাইড চিকেন |
৩। সবজি | ৩। বার্গার |
৪। পেয়ারা | |
৫। ফ্রাইড রাইস |
গ) বৃহস্পতিবার প্রমার গৃহীত খাবারের একটি সুষম খাদ্য পিরামিড এঁকে উপস্থাপন কর?
Answer: প্রমার গৃহীত খাবারের একটি সুষম খাদ্য পিরামিড একে উপস্থাপন কর
ঘ) প্ৰমার স্বাস্থ্য রক্ষায় কোন দিনের খাবারটি অধিকতর সহায়ক? যুক্তিসহকারে বিশ্লেষণ কর?
Answer: প্রমার স্বাস্থ্য রক্ষায় বৃহস্পতিবারের খাবারটি অধিকতর সহায়ক। কারণ একটি সুষম খাদ্যের তালিকায় যা যা থাকা দরকার তার সবগুলোই খাবারটিতে বিদ্যমান ছিল। সুষম খাদ্যের তালিকায় শর্করা, শাক-সবজি, ফলমূল, আমিষ এবং স্নেহ বা চর্বি জাতীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। প্রমার মা যে খিচুড়ি রান্না করেছিলেন তাতে চাল ও ডাল দিয়েছিলেন যা শর্করার বড় একটি উৎস। শর্করা মানুষের প্রধান খাদ্য। শর্করা আমাদের শরীরে কর্মশক্তি বৃদ্ধি করে ও তাপশক্তি উৎপাদন করে। খিচুড়িতে মাংস প্রোটিন ও ভিটামিনের উৎস। দেহ গঠনে প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেহের হাড়, পেশি, লোম, নখ গঠনে সহায়তা করে। উদ্ভিজ্জ ভোজ্য তেল স্নেহ জাতীয় খাবারের বড় একটি উৎস। উদ্ভিজ্জ ভোজ্য তেলে প্রচুর ভিটামিন ই থাকে। স্নেহ জাতীয় খাদ্য শরীরের তাপশক্তির অপচয় রোধ করে। ত্বকের সজীবতা বজায় রাখে । খিচুড়িতে ব্যবহৃত সবজি খনিজ লবণ ও ভিটামিনের উৎস।
Question No- 2 (Answer)
শিক্ষার্থী হিসেবে তোমার ২৪ ঘণ্টার একটি রুটিন তৈরি এবং বিষয়গুলো উপস্থাপনঃ
শরীরই মানুষের প্রথম পরিচয়। তাই শরীরকে মানুষের জীবন সংগ্রামের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার বলা যেতে পারে। এই হাতিয়ারকে ঠিক রাখার দায়িত্ব আমাদেরই। মানুষের জীবনে নিয়মিতভাবে ঘুম, খাওয়া এবং বিশ্রাম নেওয়া আবশ্যক। এগুলো মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশকে সঠিক ভাবে কাজ-কর্ম করতে সাহায্য করে।
শিক্ষার্থী হিসেবে আমার ২৪ ঘণ্টার একটি রুটিন তৈরি করা হলোঃ
- ভোর ৫:০০ টায় – ঘুম থেকে উঠা।
- ৫:২০ টায় – প্রার্থনা।
- ৫:৪০ টায় – হালকা নাস্তা।
- সকাল ৬:০০ টায় – শরীরচর্চা।
- ৬:৩০ টায় – সকালের নাস্তা।
- ৭:০০ টায় – পড়তে বসা (গণিত, ইংরেজি)।
- ৯:০০ টায় – ব্যাগ, পড়ার টেবিল গুছানো।
- ৯:৩০ – দুপুর ১:০০ টায় – বিদ্যালয়ে অবস্থান(টিফিনের সময় টিফিন করা)।
- দুপুর ১:১০ টায় – ফ্রেশ হওয়া, প্রার্থনা করা।
- ২:০০ টায় – দুপুরের খাবার।
- ২:৩০ – বিকেল ৪:৩০ টায় – বিশ্রাম নেয়া।
- বিকেল ৪:৪৫ টায় – প্রার্থনা।
- ৫:০০ টায় – অবসরে খেলাধুলা করা।
- সন্ধ্যা ৬:০০ টায় – প্রার্থনা, হালকা নাস্তা।
- ৬:৩০ টায় – পড়তে বসা।
- রাত ৮:০০ টায় – প্রার্থনা।
- ৮:৩০ টায় – রাতের খাবার।
- ৯:০০ – ১১:০০ টায় – পড়ালেখা।
- ১১:১০ – ভোর ৫:০০ টায় – ঘুম।