Class 6 Charu o Karukola Assignment Answer 2022

Class 6 Charu o Karu Kola Assignment Answer: Directorate of Secondary and Higher Secondary Education is published the class six charu o karukola assignment answer, work, solutions for the 1st week on dshe.gov.bd.

Class 6 Charu o Karukola Assignment 2022

DSHE is published the class six 4th week assignment for the subject of Charu o Karu Kola. Lets check the assignment work and questions.

4th Week Charu o Karu Kola Assignment Questions

Class: Six
Subject: Charu o Karu Kola
No. of Assignment: 1
Chapter No- চারু ও কারুকলার পরিচয়
Assignment Work- আদিম মানুষের ছবি আঁকা ও বর্তমান সময়ের ছবি আঁকার তুলনামূলক বর্ণনা দাও।

4th Week Charu o Karu Kola Assignment Questions

Class 6 Charu o Karu Kola Assignment Answer 2022

DSHE is published the charu o karu kola assignment answer on dshe.gov.bd. This is the 4th Week solutions for Charu o Karu Kola Assignment.

4th Week Charu o Karo Kola Assignment Answers:

The assignment work for the 4th of charu o karu kola is-

মনের ভাব প্রকাশের ভিন্ন এক মাধ্যম হলো ছবি। ছবি আঁকার জন্য ও ছবি ফুটিয়ে তোলার জন্য রয়েছে নানা রকম পেন্সিল কলম,কালি ছুরি, কাঁচি,হাতুড়ি, বাটাল ইত্যাদি। রয়েছে নানা ধরনের তুলি। বর্তমানে ছবি আঁকার জন্য যে সকল উপকরণ পাওয়া যায় আদি যুগে সেসব উপাদান ছিল না। কিন্তু আদিযুগের মানুষরাও ছবি আঁকতো আর তাদের আঁকা ছবি দেখেই আজ আমরা জানতে পেরেছি তাদের জীবন ধারণের কথা।

আদি মানুষরা বনে গুহায় বসবাস করত। তারা ঠিকমতো ঘরবাড়ি তৈরি করা, চাষাবাদ ফসল ফলানো এসব কিছুই জানতো না। তারা পশু শিকার করে মাংস খেয়ে জীবন ধারণ করতো। তারা দলবল নিয়ে গুহায় বাস করত আর সেই গুহার দেয়ালে ছবি আঁকতো। আদিম মানুষ ঘর সাজাবার জন্য ছবি আঁকতো না কারণ তারা থাকতো গুহায়। ছবি আঁকা আদিম মানুষের কাছে ছিল একটা জাদু বিশ্বাসের মতো। তারা যেসব পশু শিকার করত তার ছবি আঁকতো আর পশুর গায়ের তীর বা বর্ষা এইসব এঁকে দিত। এর অর্থ হলো শিকার করার হাতিয়ার দিয়ে পশুটিকে শিকার করা হলো। শিকারে বের হওয়ার আগে এসব ছবি এঁকে শিকারে বের হতো। তাদের বিশ্বাস ছিল যে শিকারে আজ সফল হবোই। আদিকালের মানুষ ছবি আঁকার জন্য তুলি ব্যবহার করত। শক্ত পশুর হাড় সুচালো করে তা দিয়ে আঁচড় কেটে রেখা টানত। জীবজন্তুর পশম একসঙ্গে বেঁধে তুলি বানাত। আর রং তৈরি করা হতো নানা রঙের মাটির সাথে চর্বি মিশিয়ে। যদিও আদি মানুষের ছবি আঁকার উপাদানগুলো ছিল খুবই অপ্রতুল কিন্তু তাদের আঁকা ছবির রং, রেখা এখনো সুন্দর অক্ষত রয়েছে। তারা পশু শিকারের জন্য ব্যবহৃত পাথরের গায়ে আঁচড় কেটে নানা রকম ছবি ফুটিয়ে তুলতো। আর এভাবেই আদিম মানব গোষ্ঠী চারু ও কারুশিল্প সূচনা করেছিল।

বর্তমান সময়ে ছবি আঁকার জন্য আদি মানুষের মত এতো কষ্ট করতে হয়না। এখন ছবি আঁকার জন্য নানা ধরনের কাগজ তৈরি হচ্ছে, ক্যানভাস তৈরি হচ্ছ, ধাতব প্লেট বা জমিন তৈরি করা হচ্ছে। মাটির ফলক অনেক উন্নত হয়েছে। ছবি আঁকার জন্য এখন অনেক রকম রং ব্যবহার করা হয়। পানিতে মিশিয়ে যে রং তৈরি করা হয় জলরং বলে। মোম মেশানো এক ধরনের রং এর কাঠি তৈরি হয়েছে যার নাম প্যাস্টেল রং। রঙের সাথে তেল ও তারপিন মিশিয়ে বড় বড় শিল্পীরা ক্যানভাসে বা কাঠের পাটাতনে যে ছবি আঁকেন তার নাম হলো তৈলরং বা তেলরং। বর্তমানে ছবি আঁকার জন্য অ্যাক্রেলিক রং এক নামে এক ধরনের রংব্যাবহার করা হয়। যার মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি ছবি আঁকা যায়। এই রং তেল ও পানিতে মিশিয়ে দুইরকম ভাবে ব্যবহার করা যায়। আমাদের দেশে এই ধরনের রঙ খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

পরিশেষে বলা যায়, মানবসভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে সাথে যেমন মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন এসেছে। তেমনই ছবি আকার ক্ষেত্রেও এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া।

For more information, visit- dshe.gov.bd

Leave a Comment