SSC Business Entrepreneurship Assignment Answer 2022: Directorate of Secondary and Higher Secondary Education is published the SSC 2022 Assignment Answer for business entrepreneurship Subject. The assignment work, solutions and answer for 3rd Week is publisheh on dshe.gov.bd.
SSC Business Entrepreneurship Assignment 2022
DSHE is published the class ten business entrepreneurship assignment work for the week of 3rd. Lets check out the assignment work and content.
3rd Week Business Entrepreneurship Assignment Questions 2021
Class: Ten
Subject Name: Business Entrepreneurship
Lesson no and Title: প্রথম অধ্যায় (ব্যবসায় পরিচিতি)
Assignment: বাংলাদেশের শিল্পের ওপর ব্যবসায়িক পরিবেশের উপাদান এর প্রভাব।
অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নির্দেশনা ( সংকেত, ধাপ ও পরিধি):
ব্যবসার ধারণা,
ব্যবসায় পরিবেশের ধারণা,
বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ।
SSC Business Entrepreneurship Assignment Answer 2022
DSHE is published the class Ten business entrepreneurship assignment answer on dshe.gov.bd.
3rd Week Assignment Answer
The 7th Week assignment work is- বাংলাদেশের শিল্পের ওপর ব্যবসায়িক পরিবেশের উপাদান এর প্রভাব।
Answer:
বাংলাদেশের শিল্পের উপর ব্যবসায়িক পরিবেশের উপাদান এর প্রভাব
ব্যবসার ধারণা :
অর্থশাস্ত্রের পরিভাষায় ব্যবসায় এক ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ড (বিজ্ঞান) যেখানে নির্দিষ্ট সৃষ্টিশীল ও উৎপাদনীয় লক্ষ্যকে সামনে রেখে বৈধভাবে সম্পদ উপার্জন বা লাভের উদ্দেশ্যে লোকজনকে সংগঠিত করা হয় ও তাদের উৎপাদনীয় কর্মকাণ্ড রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। ব্যক্তির মুনাফা পাওয়ার আশায় পণ্যদ্রব্য ও সেবাকর্ম উৎপাদনের মাধ্যমে উপযোগ সৃষ্টি এবং মানুষের বস্তুগত ও অবস্তুগত অভাব পূরণের লক্ষ্যে সেগুলো বণ্টন এবং এর সহায়ক সবরকম বৈধ, ঝুঁকিবহুল ও ধারাবাহিক কার্যকে ব্যবসা বলে।
আইনানুসারে, ব্যবসা বলতে সেই সংগঠনকে বুঝায়, যা অর্থের বিনিময়ে ভোক্তাকে পণ্য বা সেবা কিংবা, দুটো সুবিধাই প্রদান করে। পুঁজিবাদ অর্থনীতিতে ব্যবসায় লণীয়ভাবে বিদ্যমান এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এখানে প্রায়, সব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিমালিকানায় পরিচালিত হয়, যা গঠন করা হয় মূলত মুনাফা অর্জন করে মালিকের পুঁজি বৃদ্ধির জন্যে। ব্যবসায় মুনাফার জন্য ব্যক্তি মালিকানার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গুলোর মালিক বা পরিচালকবৃন্দের মূল উদ্দেশ্যের মধ্যে একটি হলো, ঝুঁকি গ্রহণ ও কার্যের বিপরীতে বিনিয়োগকৃত পুঁজি ফেরত পাওয়া। মুনাফাবিহীন বা রাষ্ট্র মালিকানার অধীনেও ব্যবসায় করা যায়।
“ব্যবসায়” শব্দ টি ইংরেজি “business” শব্দের পারিভাষিক প্রতিশব্দ। “business” শব্দের আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে “ব্যস্ত থাকা”
অর্থাৎ হয় ব্যক্তিগতভাবে অথবা সমষ্টিগত ভাবে বাণিজ্যিক ভাবে, সমর্থনযোগ্য ও লাভজনক কাজে ব্যস্ত থাকা।
ব্যবসায় পরিবেশঃ
কোন অঞ্চলের জনগণের জীবনধারা ও অর্থনৈতিক কার্যাবলী কে প্রভাবিত করে এমন সব উপাদান এর সমষ্টি যা ব্যবসার উপর প্রভাব বিস্তার করে, তাই ব্যবসায় পরিবেশ। অন্য কথায় বলতে গেলে যেসব প্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা ব্যবসায়ী সংগঠনের গঠন, কার্যাবলী, উন্নতি ও অবনতি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে প্রভাবিত হয় সেগুলোর সমষ্টিকে ব্যবসায়িক পরিবেশ বলে। কোন স্থানের ব্যবসায় ব্যবস্থার উন্নতি নির্ভর করে ব্যবসায়িক পরিবেশের উপর।
ব্যবসায় পরিবেশ যে কোনও ব্যবসায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। ব্যবসায় পরিবেশের উপর নির্ভর করে অনেক ধরনের ব্যবসায় গড়ে উঠে। যেমন: আমাদের দেশে পাট চাষ ভালো হয় যার ফলে পাঠ শিল্প গড়ে উঠেছে, আবার মধ্যপ্রাচ্যের দিকে তেল খনি থাকায় তেল শিল্প গড়ে উঠেছে, আমেরিকা প্রযুক্তি দিয়ে এগিয়ে থাকায় তারা প্রযুক্তি নির্ভর শিল্প করছে। সুতরাং, বলা যায় যে ব্যবসায় পরিবেশের উপর ভিত্তি করে নানা ধরণের ব্যবসার সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশের শিল্পের উপর ব্যবসায়িক পরিবেশের উপাদান এর প্রভাব
ব্যবসায় পরিবেশ ২ প্রকার:
অভ্যন্তরীণ পরিবেশ /Internal Environment
বাহ্যিক পরিবেশ /External Environment
অভ্যন্তরীণ পরিবেশ ব্যবসায়ের পরিবেশের এমন উপাদান যা ব্যবসায়ের অভ্যন্তরে উপস্থিত থেকে ব্যবসায়কে প্রতক্ষভাবে বা সরাসরি ক্রিয়াকলাপ এবং সিদ্ধান্তগ্রহণে প্রভাবিত করে কিন্তু ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তা নিয়ন্ত্রণযোগ্য তখন তাকে ব্যবসায়ের অভ্যন্তরীন পরিবেশ বলা হয়।
বাহ্যিক পরিবেশ ব্যবসায় পরিবেশের এমন উপাদান যা ব্যবসায়ের বাহিরে থেকে ব্যবসায়ের কার্যক্রমকে পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে, ব্যবসায়ের পক্ষে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় কিন্তু হ্রাস করতে পারে, তখন তাকে বাহ্যিক পরিবেশ বলে।
বাংলাদেশের শিল্পের উপর ব্যবসায়িক পরিবেশের উপাদান এর প্রভাবঃ
একটি দেশের কোন ধরনের শিল্প গড়ে উঠবে তা নির্ভর করে ওই দেশের ব্যবসায়ী পরিবেশের উপাদান এর উপর। যেমন অমুসলিম দেশগুলোতে মদ ও বিয়ার এর কারখানা গড়ে উঠতে পারে কিন্তু মুসলিম দেশগুলোতে এগুলো নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে গড়ে উঠতে পারে না। আবার বাংলাদেশের পোশাকশিল্প বৃদ্ধির মূল কারণ হলো এদেশের সস্তা মানব সম্পদ। অর্থাৎ কোন দেশের শিল্প গড়ে ওঠার পেছনে ওই দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানগুলো প্রভাব বিস্তার করে। নিচে বাংলাদেশের শিল্পের ওপর ব্যবসায়িক পরিবেশের উপাদান এর প্রভাব বর্ণনা করা হলো।
প্রাকৃতিক উপাদানঃ
প্রাকৃতিক পরিবেশের অধিকাংশ উপাদানই বাংলাদেশে ব্যবসায় স্থাপনের জন্য অনুকূল। দেশের প্রায় সকল অংশই নদী বিধৌত। ফলে সহজেই এখানে কৃষিজাত বিভিন্ন শিল্প ও ভােগ্য পণ্যের কাঁচামাল উৎপাদন করা সম্ভব। ব্যবসায় বা শিল্প স্থাপনের জন্য প্রয়ােজনীয় প্রাকৃতিক গ্যাস বিদ্যমান। দেশে বিদ্যমান খনিজ কয়লা, চুনা পাথর, কঠিন শিলা ও খনিজ তৈল শিল্প বিকাশে সহায়ক। দিন বনভূমির পরিমাণ কমে গেলেও আমাদের রয়েছে সমৃদ্ধ বনজ সম্পদ। অসংখ্য নদী বিধৌত ও সমুদ্রবেষ্টিত হওয়ায় মৎস্য শিল্প বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশও এখানে বিদ্যমান।
অর্থনৈতিক উপাদানঃ
দেশে বিরাজমান কার্যকর অর্থ ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা, কৃষি ও শিল্পের অবদান, জনগণের সঞ্চয় ও বিনিয়ােগ মানসিকতা ও সরকারের পৃষ্ঠপােষকতা ব্যবসায় পরিবেশের সুদৃঢ় অর্থনৈতিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উপাদানগুলাের কয়েকটির ভিত্তি বেশ মজবুত হলেও অনেকগুলাের ভিত্তি তেমন সুদৃঢ় নয়। চাহিদার তুলনায় প্রয়ােজনীয় মূলধনের অভাব, গ্রামীণ জনগণের ব্যাংকিং সেবা ও ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শহরের তুলনায় কম সুবিধা,প্রশাসনিক জটিলতা, দালাল শ্রেণির লােকদের হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ইত্যাদি প্রতিকূল অবস্থা কাটাতে পারলে বাল্লাদেশ ব্যবসায় বিকাশে আরও দ্রুত অগ্রসর হতে পারবে।
সামাজিক উপাদানঃ
জাতি, ধর্মীয় বিশ্বাস, ভােক্তাদের মনােভাব, মানব সম্পদ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, প্রভৃতি ব্যবসায়ের সামাজিক উপাদানগুলাের বেশিরভাগ বাংলাদেশে ব্যবসায় প্রসারের ক্ষেত্রে অনুকূল। এ দেশের মানুষ জাতিগত, ঐতিহ্যগত এবং সাংস্কৃতিকভাবে উদার,পরিশ্রমী এবং সৃজনশীল। অতীতে জাহাজ নির্মাণ করে এবং মসলিন কাপড় উৎপাদন করে এ দেশের মানুষ তাদের প্রতিভা ও পরিশ্রমের বাক্ষর রেখেছে। সােনারগাঁও এক সময় ব্যবসায়, শিক্ষা-দীক্ষা, কৃষি, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্প, কারু শিল্পে ছিল বিশ্বসেরা। বর্তমানেও জামদানি শাড়ি তৈরি এবং জাহাজ নির্মাণ বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে মুখস্থ নির্ভরতা থেকে বের করে আরও দক্ষতা ও শ্রমনির্ভর করতে পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিল্প, বাণিজ্য, গবেষণায় আরও বেশি সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারবে। সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বৃদ্ধি করতে হবে।
রাজনৈতিক উপাদানঃ
সুস্থ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং অনুকূল শিল্প ও বাণিজ্যনীতি, প্রতিবেশী ও অন্যান্য দেশের সাথে সুসম্পর্ক ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে সহায়তা করে। অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ঘন সরকার পরিবর্তন, হরতাল, ধর্মঘট, ব্যবসায়-বান্ধব শিল্প ও বাণিজ্য নীতির অভাব ইত্যাদি প্রতিকূল রাজনৈতিক উপাদান শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসারে বাধা সৃষ্টি করে। দেশি ও বিদেশি বিনিয়ােগকারীগণও বিনিয়ােগ করতে উৎসাহিত হয় না। বাংলাদেশে ব্যবসায়ের উক্ত রাজনৈতিক উপাদানের সবগুলাে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে বিদ্যমান নেই। শ্রমিক অসন্তোষ, ধর্মঘট, হরতালসহ বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ড পরিহার করার মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যবসায়ের জন্য রাজনৈতিক পরিবেশ উন্নত করা যায়।
আইনগত উপাদানঃ
আইনগত পরিবেশের বেশ কিছু উপাদান বালাদেশে আধুনিক ও যুগােপযােগী হলেও অনেকগুলাে বেশ পুরাতন। পরিবেশ সংরক্ষণ ও ভােক্তা আইনের কঠোর প্রয়ােগ, শিল্প ও বিনিয়ােগ বান্ধব আইন তৈরি, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও চাদাবাজি প্রতিরােধে আইনের কঠোর প্রয়ােগের মাধ্যমে দেশের ব্যবসাবাণিজ্যের উন্নতি নিশ্চিত করা যায়।
প্রযুক্তিগত পরিবেশঃ
শিল্প ও ব্যবসায় বাণিজ্যের উন্নতিতে দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী, উন্নত যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির প্রয়ােজন হয়। সাধারণত দেখা যায়, যে সকল দেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত পরিবেশে উন্নত তারা ব্যবসাবাণিজ্যেও উন্নত। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন উৎপাদন প্রক্রিয়াকে সহজতর করে। ফলে উৎপাদিত পণ্যের পরিমাণ ও গুণগত মান বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশে ব্যবসায় পরিবেশের প্রযুক্তিগত উপাদানগুলাে অনেকক্ষেত্রেই অনুকূল। ব্যবসায়ের সকল শাখায় প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পরিশেষে বলা যায়, ব্যবসায়-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রভাব বিস্তারকারী পরিবেশগত উপাদানসমূহের উন্নয়ন খুবই জরুরি। ব্যবসায়-বাণিজ্য ও শিল্প উন্নয়নে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
Source: DSHE