HSC 2022 Economics 1st Paper Assignment Answer: Directorate of Secondary and Higher Secondary Education is published the Inter 1st Year Economics First Paper Assignment Answer, Work, Solution for 4th Week and 1st week on dshe.gov.bd.
HSC Economics 1st Paper Assignment 2022:
DSHE is published the hsc Economics First paper assignment question on dshe.gov.bd. lets check the assignment work and content for the latest week.
4th Week Economics 1st Paper Assignment
Class: HSC
Subject Name: Economics 1st Paper
Assignment Serial: Assginment-1
Assignment Work: রমিজ বাজার থেকে প্রতি কেজি পেয়ারা ৮০ টাকা, ৭০ টাকা ও ৬০ টাকা হলে যথাক্রমে ১৫ কেজি, ২০ কেজি ও ২৫ কেজি পেয়ারা ক্রয় করতে আগ্রহী। অন্যদিকে পেয়ারা বিক্রেতা উক্ত দামে বাজারে পেয়ারা সরবরাহ করতে চায় যথাক্রমে ২৫ কেজি, ২০ কেজি ও ১৫ কেজি। উল্লেখিত তথ্যের ভিত্তিতে পেয়ারার বাজারের ভারসাম্য বিশ্লেষণ করো।
1st Week Economics 1st Paper Assignment
Class: HSC
Subject Name: Economics 1st Paper
Assignment Serial: Assginment-1
Assignment: হাওর এলাকার কৃষক সালামত সাহেবের এক খন্ড জমিতে ধান ও গম উৎপাদনের ক্ষেত্রে নিম্নরূপ বিকল্প সম্ভাবনা অনুসৃত হয়েছে।
যেমন: ধান উৎপাদন যখন ১৬, ১০ ও ০ মন হয়, তখন উৎপাদন হয় যথাক্রমে ০, ১০, ও ১৬ মন। প্রাপ্ত তথ্যের আলােকে উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার অর্থনৈতিক তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
HSC 2022 Economics 1st Paper Assignment Answer
Inter 1st Year Economics First Paper Assignment Answer has been published on dshe.gov.bd. Lets check the solutions and answer for the latest week.
4th Week Economics 1st Paper Assignment Answer
Question Part: রমিজ বাজার থেকে প্রতি কেজি পেয়ারা ৮০ টাকা, ৭০ টাকা ও ৬০ টাকা হলে যথাক্রমে ১৫ কেজি, ২০ কেজি ও ২৫ কেজি পেয়ারা ক্রয় করতে আগ্রহী। অন্যদিকে পেয়ারা বিক্রেতা উক্ত দামে বাজারে পেয়ারা সরবরাহ করতে চায় যথাক্রমে ২৫ কেজি, ২০ কেজি ও ১৫ কেজি। উল্লেখিত তথ্যের ভিত্তিতে পেয়ারার বাজারের ভারসাম্য বিশ্লেষণ করো।
Answer:
চাহিদা ও যােগানের ধারণা
চাহিদার ধারণা (Concept of Demand) সাধারন অর্থে, কোন কিছু পাওয়ার আকাঙ্খা বা ইচ্ছাকে চাহিদা বলে। কিন্তুু অর্থনীতিতে চাহিদা বলতে ভোক্তার কোন দ্রব্য বা সেবা পাওয়ার আকাঙ্খার সাথে সাথে তা ক্রয়ের অর্থ, সামর্থ্য এবং ব্যয় করার ইচ্ছা থাকলে তবেই ঐ আকাঙ্খাকে চাহিদা বলে। ধরা যাক, রহিম আর্থিকভাবে অসচ্ছল। সে একটি মোটর গাড়ী কেনার জন্য আকাঙ্খা প্রকাশ করল কিন্তুু তা ক্রয় করার মতো আর্থিক সামর্থ্য তার নেই। কাজেই, এক্ষেত্রে রহিমের মোটর গাড়ির জন্য আকাঙ্খাকে চাহিদা বলা যাবে না। আবার একজন ধনী অথচ কৃপণ লোকের গাড়ী কেনার ইচ্ছাকে চাহিদা বলা যাবে না। কেননা তার ক্রয়ক্ষমতা থাকলেও অর্থ ব্যয় করার ইচ্ছা নেই। সুতরাং
অর্থনীতিতে চাহিদা হতে হলে নিম্নোক্ত তিনটি শর্ত অবশ্যই পূরণীয়। শর্ত তিনটি হলো :
(১) কোন দ্রব্য পাওয়ার আকাঙ্খা;
(২) দ্রব্যটি ক্রয় করার প্রয়োজনীয় আর্থিক সামর্থ্য; এবং
(৩) প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করে দ্রব্যটি ক্রয় করার ইচ্ছা।
সুতরাং আমরা বলতে পারি, কোন ক্রেতা বা ভোক্তার একটি নির্দিষ্ট দ্রব্য পাওয়ার আকাঙ্খা, আর্থিক সামর্থ্য বা ক্রয়ক্ষমতা এবং নির্দিষ্ট দামে ক্রয় করার ইচ্ছা থাকলে তবে তাকেই অর্থনীতিতে চাহিদা (Demand) বলে।
যােগানের ধারণা (Concept of Supply) সাধারণ অর্থে যােগান বলতে কোন দ্রব্যের সরবরাহকে নির্দেশ করে। কিন্তু অর্থনীতিতে যােগান বলতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পণ্যে বিক্রেতাগণ কোন দ্রব্যের যে পরিমাণ বাজারে বিক্রয় করতে রাজি থাকে তাকে যােগান বলে। কোন দ্রব্যের যােগান সাধারণত: উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল। দ্রব্যের যােগান দাম ও সময় দ্বারা প্রভাবিত হয়।
তাই চাহিদার ন্যায় যােগানের ক্ষেত্রেও অন্যান্য বিষয়কে স্থির বিবেচনা করে যােগানকে শুধুমাত্র দামের সাথে একটি ক্রিয়া বা অপেক্ষক বিবেচনা করা হয়। সুতরাং, কোন বিক্রেতা বা উৎপাদন প্রতিষ্ঠান কোন নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট দামে তাদের উৎপাদিত পণ্যের যে পরিমাণ বিক্রয় করতে প্রস্তুত থাকে তাকে অর্থনীতিতে যােগান (Supply) বলে।
যােগানের নির্ধারকসমূহ (Determinants of Supply) আমরা জানি, কোন দ্রব্যের যােগান কতকগুলি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল।
যে সব বিষয়ের উপর কোন দ্রব্যের যােগান নির্ভরশীল ঐসব বিষয়কে যােগানের নির্ধারক বলে। যােগানের নির্ধারকগুলাে যােগানের অপেক্ষকের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়।
চাহিদা ও যােগানের সূচি, চাহিদা ও যােগানের চিত্রাঙ্কন
চাহিদা সূচি অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকা অবস্থায় কোন দ্রব্যের দাম ও চাহিদার পরিমাণের মধ্যে সম্পর্ককে যে সারণির মাধ্যমে দেখানো হয় তা হচ্ছে চাহিদা সূচি।
যোগান সূচি চাহিদা সূচির মত যোগান সূচিকে একটি ছকের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় যা দ্রব্যের দাম ও যোগানের পরিমাণের মধ্যে সম্পর্ক দেখায়।
সারণি-১ এ পেয়ারার চাহিদা সূচি দেখানাে হয়েছে। প্রতিটি দামে ভােক্তা যে পরিমাণ পেয়ারা ক্রয় করে তা নির্ধারণ করতে পারি।সারণি-১ এ পেয়ারার চাহিদা সূচি দেখানাে হয়েছে। প্রতিটি দামে ভােক্তা যে পরিমাণ পেয়ারা ক্রয় করে তা নির্ধারণ করতে পারি।
সারণি-১ এ পেয়ারার চাহিদা সূচি দেখানাে হয়েছে। প্রতিটি দামে ভােক্তা যে পরিমাণ পেয়ারা ক্রয় করে তা নির্ধারণ করতে পারি।
সারণিতে, প্রতি কেজি ৪০ টাকা দমে ভােক্তা প্রতি মাসে ১৫ কেজি পেয়ারা ক্রয় করে, ৭০ টাকা দামে। ২০ কেজি (পয়ারা ক্রয় করে এবং ৬০ টাকা দামে ২৫ কেজি (পয়ারা ক্রয় করে। এভাবে সারণি থেকে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেয়ারার দাম যত কমছে পেয়ারার চাহিদার পরিমাণ তত বাড়ছে। চাহিদা সূচি অনুযায়ী আমরা দেখতে পাচ্ছি।
যে, একটি নির্দিষ্ট সময়ে চাহিদার অন্যান্য নির্ণারণসই স্থির থাকা অবস্থায় দ্রব্যের দামের উপর দ্রব্যটির প্রকৃত যেন পরিমাণ নির্ভর করে।
রেখাচিত্রের মাধ্যমে চাহিদা সূচির প্রকাশই হচ্ছে চাহিদা বেখা। [চিত্র ১ এ QY বা লম্ব অঙ্কে । পেয়ারার দাম ও OX বা ভূমি।
অক্ষে পেয়ারার চাহিদার পরিমাণ দেখানাে হয়েছে। DD হচ্ছে ভােক্তার পেয়ারার চাহিদা বেখা। এই রেখার a, b, c, বিন্দুগুলােতে বিভিন্ন দামে চাহিদার বিভিন্ন পরিমাণ প্রকাশ পায়। যেমন, a বিন্দু দ্বারা বােঝা যায়, ৪০ টাকা দামে ভোক্তার ।
প্যারার চাহিদার পরিমাণ ১৫ কেজি। আবার c বিন্দুতে ৬০ টাকা দামে পেয়ারার চাহিদা পরিমাণ ২৫ কেতি। অর্থাৎ দাম ও চাহিদার মধ্যে বিপরীত সম্পর্ক বিদ্যমান। দাম কমার সাথে সাথে চাহিদার পরিমাণ বাড়তে থাকে এবং চাহিদা রেখাটি বাম থেকে ডান দিকে নিম্নগামী হয়ে থাকে।
সারনি ২ এ দেখা যাচ্ছে যে, পেয়ারার দাম বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে পেয়ারার যােগানের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যখন অন্যান্য বিষয় (যা বিক্রেতার বিক্রির পরিমাণকে প্রভাবিত করতে। পারে) অপরিবর্তিত থাকে।
রেখাচিত্রের মাধ্যমে যােগান সূচির প্রকাশই হচ্ছে যােগান রেখা।
চিত্র ২এ OY বা লম্ব অস্কে পেয়ার দাম ও ox বা ভুমি অস্কে পেয়ারার যােগান পরিমাণ দেখানাে হয়েছে।
Ss হচ্ছে বিক্রেতার পেয়ারার যােগান রেখা। এই রেখার a, b, c, বিলগুলােভে। বিভিন্ন দামে যােগানের বিভিন্ন পরিমাণ প্রকাশ পায়। যেমন, c | বি দ্বারা বােঝা যায়, ‘৮০ টাকা দামে বিক্রেতার পেয়ারার যোগানের গরিমাণ ২৫ কেজি। আবার a বিন্দুতে ৬০ টাকা। | দামে (পয়ারার যােগানের পরিমাণ ১৫ কেজি। অর্থাৎ নাম ও যোগানের মধ্যে সমস- বিদ্যমান। দাম বাড়ার সাথে সাথে যােগানের পরিমাণ বাড়তে থাকে এবং যােগান রেখাটি বাম।
ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ,
তথ্যের ভিত্তিতে পেয়ারার বাজারের ভারসাম্য বিশ্লেষণ (উদ্দীপকের তথ্যসমূহ হতে রেখাচিত্র অঙ্কন করা প্রয়ােজন)
ভারসাম্য দাম ও পরিমাণঃ যে কোনাে দ্রব্য বা সেবা সামগ্রীর জন্য। একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে দামে চাহিদা ও যােগানের পরিমাণ সমান হয়, তাকে ভারসামা দম বলা হয়। একটি মিষ্টি সময় যে পরিমাণ দ্রব্যের ক্ষেত্রে চাহিদা দাম ও যােগান দম সমান হয়, তাকে ভারসাম্য পরিমাণ বলা হয়। কোন প্রতিযােগীতামূলক বাজারে কোন দ্রব্যের বিক্রয় নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে দর কষাকষি হয়। ক্রেতারা। কম দাম দিতে চায় আর বিক্রেতারা তার দ্রব্যকে বেশী দামে বিক্রয় করতে চায়। এই দর কষাকষির মাধ্যমে এমন একটি দমে দ্রব্যাটি ক্রয়-বিক্রয় হয়। যেখানে দ্রব্যের চাহিদা ও যােগানের পরিমাণ পরস্পর সমান হয়। এই দশকে ভারসাম্য দাম এবং ঐ বিক্রয়ের পরিমাণকে ভারসাম্য পরিমাণ বলা হয়। ভারসাম্য দাম ও পরিমাণের এই স্থিতিবস্থাকে বাজার ভারসাম্য বলে পরিচিত।
সাধারণত: নিম্নোক্ত দুই ভাগে বাজার ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ নির্ধারণ হয়ে থাকে।যথা:
(1)সূচি ও রেখা চিত্রের সাহায্যে
(2)গাণিতিক/ বীজগাণিতিক মডেলের সাহায্যে
চিত্র ৩ এ বাজার চাহিদা রেখা (DD) ও বাজার যাগান রেখা (SS) পরস্পরকে e বিন্দুতে ছেদ। করেছে। এই e বিন্দুতে বাজার ভারসাম্য বিদ্যমান। ভারসাম্য হচ্ছে এমন একটি অবস্থা যেখানে একটি | নিষ্টি দামে চাহিদার পরিমাণ ও যােগানের পরিমাণ সমতায় পৌঁছে। চাহিদা ও যােগানের। ছেদবিন্দুতে যে দাম বিদ্যমান তা হচ্ছে ভারসাম্য দাম এবং দ্রব্যের পরিমাণ হচ্ছে ভারসাম্য পরিমাণ।
যখন বাজার দাম ভারসাম্য দামের সমান না হয় তখন কি হতে পারে। প্রথমে ধরে নেই, বাসার দাম ভারসাম্য দামের চেয়ে বেশি। চিত্রে বাজার দাম যখন ৮০ টাকা তথন পেয়ারার যােগানের পরিমাণ ২৫ কেজি এবং পে।রার চাহিদার পরিমাণ ১৫ কেজি। অর্থাৎ,পেয়ারার উদ্বৃত্ত ১০ কেজি। এখানে যােগানদার যে পরিমাণ দ্রব্য। যােগান দিতে ইচ্ছুক চলতি দামে তার সবটুকু বিক্রি করতে পারে না। উদ্বৃত্ত অবস্থাকে অতিরিক্ত যােগান (excess supply) বলা হয়।
অর্থাৎ দ্রব্যের দামের উধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি হয়। যখন দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পায় তখন দ্রব্যের চাহিদার পরিমাণ | হ্রাস পায় এবং যােগানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এভাবে বাজার পুনরায় ভারসাম্য অবস্থায় ফিরে আসে। ক্রেতা। ও বিক্রেতার ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে বাজার দাম। ভাৰাম্য দামে উপনীত হয়। ভারসাম্য অবস্থাযক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই সন্তুষ্ট থাকে এবং দামের উপর। উধ্বমুখী ও নিম্নমুখী কোন ধরণের চাপ থাকে না।
1st Week Economics 1st Paper Assignment Answer
Question Part: হাওর এলাকার কৃষক সালামত সাহেবের এক খন্ড জমিতে ধান ও গম উৎপাদনের ক্ষেত্রে নিম্নরূপ বিকল্প সম্ভাবনা অনুসৃত হয়েছে।
Answer:
মানুষকে আনন্দ বা তৃপ্তি দেয় এমন বস্তুগত অথবা অবস্তুগত দ্রব্য ও সেবা পাওয়ার আকাক্সক্ষাকে অভাব বলে। জন্মলগ্ন থেকেই মানুষকে সীমাহীন অভাবের সম্মুখীন হতে হয়।
একটি অভাব পূরণ হতে না হতেই আরেকটি অভাব দেখা যায়। মানুষের প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সেবার অভাব পূরণ হলে আরামদায়ক দ্রব্য বা সেবার অভাব অনুভূত হয়। সেটি পূরণ হবার সাথে সাথেই বিলাস জাতীয় দ্রব্য বা সেবার অভাবের মুখোমুখি হতে হয়। এভাবে মানুষের নিরন্তর চাওয়া বা অভাবের শেষ নেই।
যেমন- কোন মানুষ যখন ভাড়া বাসায় থাকে পরবর্তীতে আরাম আয়েশ বা স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য নিজের বাসায় থাকার আকাক্সক্ষা অনুভব করে। সেটি পূরণ হলে মানুষের মনে উন্নতমানের গাড়ি, মূল্যবান অলংকার ও উন্নত সেবা ইত্যাদির অভাব সৃষ্টি হয়।
আবার কারও কারও ক্ষেত্রে যিনি দুবেলা দুমুঠো খেতে পারছেন পরবর্তীতে তিনি উন্নত খাবার ও বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা এবং অন্যান্য ভোগ্যদ্রব্য যেমন- টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর, টেলিফোন ইত্যাদির অভাব অনুভব করেন।
উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা হল এমন একটি রেখা যার বিভিন্ন বিন্দুতে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ ও চলতি প্রযুক্তির সাপেক্ষে দুটি উৎপন্ন দ্রব্যের সম্ভাব্য বিভিন্ন সংমিশ্রণ নির্দেশ করে ।
এই রেখাটি PPC রেখা নামে বেশি পরিচিত । অভাব অসীম এবং সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা সব অভাব একসাথে পূরণ করতে পারি না । তবে দুষ্প্রাপ্যতার সমস্যা এবং নির্বাচনের প্রয়োজনীয় উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার সাহায্যে ব্যাখ্যা করতে পারি । অর্থাৎ বর্তমান সম্পদ ও প্রযুক্তির সাহায্যে সমাজে কোন দ্রব্য কি পরিমান উৎপাদন করা হবে তা আমরা এই উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা হতে জানতে পারি ।
এ প্রসংগে অধ্যাপক লিপসি বলেন,”উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা হল এমন একটি রেখা যা বিভিন্ন দ্রব্যের এমন বিকল্প সমন্বয়সমূহ প্রকাশ করে যেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে অর্জন করা সম্ভব যদি প্রাপ্ত উৎপাদিত সম্পদের সবটুকুই ব্যবহার করা যায় “।
চিত্রে AB একটি উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা । A বিন্দুতে X দ্রব্যের উৎপাদন শুন্য এবং B বিন্দুতে উৎপাদন শূন্য । Y দ্রব্যের A ও B এর মাঝে উভয় দ্রব্যের উৎপাদন নির্দেশিত । যেমন — P বিন্দুতে Y এর OY1 , এবং X এর OX1 Q বিন্দুতে Y এর OY2 ও X এর OX2 , এবং R বিন্দুতে Y এর OY3 ও X এর OX3 উৎপাদন সংমিশ্রণ নির্দেশিত । সুতরাং A . P . Q . R ও B বিন্দুকে নিয়ে গঠিত হয় উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা ।
তবে এখানে উল্লেখ্য AB রেখার নিচে যে কোন বিন্দু ; যেমন — S – এ উৎপাদন সম্ভব তবে এই বিন্দুতে উৎপাদন করলে উৎপাদনের উপাদানগুলাের ব্যবহার অপূর্ণ থেকে যাবে । আবার X – দ্রব্য । উপকরণের সীমাবদ্ধতার জন্য AB রেখার আওতার বাইরে ; যেমন — M বিন্দুতে উৎপাদন সম্ভব নয় এটা অ – অর্জন যােগ্য সমন্বয় প্রকাশ করে ।
সুতরাং সম্পদ বা উপকরণের সীমাবদ্ধতার কারণেই কোন্ কোন্ দ্রব্য কি পরিমাণে উৎপাদন করতে হবে তা উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার সাহায্যে জানা যায় ।উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার বৈশিষ্ট্যসমূহ উপরিউক্ত আলােচনার প্রেক্ষিতে উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার ( PPC
সীমিত সম্পদ ও অসীম অভাবের কারনে সৃষ্ট নিবাচন সমসম্যাটি উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার সাহায্যে ব্যাখাা করা যাই।
কোন দেশেমর জনগনের খাদ্য অভ্যাসের কারনে নানা সময উৎপাদন রেখার বা উৎপাদন কম বেশি হয় ।
কেউ ধান চাষের গুরউত্ব কোন বছর বেমি দেন আমার কোন বছর গম চাষ বেশি করা হয়
চিত্র অনুসারে আমরা বলতে পারি জনাব সালামত সাহেবের সম্পন সম্পদ ব্যবহার করেল ধান মোট: ১৬ একক ধান উৎপাদন করতে পারতেন । অথবা সম্পন সম্পদ ব্যবহার করেল গম মোট: ১৬ একক ধাগম উৎপাদন করতে পারতেন । এই ২টির যেকোন ১টির অভাব পূরন করত পারতো ।
তাই জনাব সালামত সাহেব ১ম বছর পূন ধান ১৬ একক উৎপাদন করে আর গম উৎপাদন করে ০ একক,
আরার ২য় বছর পূন ধান ১০ একক উৎপাদন করে আর গম উৎপাদন করে ১০ একক,
আরার ৩য় বছর পূন ধান ০ একক উৎপাদন করে আর গম উৎপাদন করে ২০ একক,
এই ভাবে জনাব সালামত তার হাওর এলাকার এক খন্ড জমিতে ধান ও গম উৎপাদনের কাজ করে ।
এইচএসসি /ভোকেশনাল/আলিম সকল সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর পেতে ক্লিক করুন
অর্থনীতিতে উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার তাৎপর্য
অর্থনীতিতে উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার তাৎপর্য
এই খানে X=ধান ও Y= গম দ্রব্যের উৎপাদন
ক. চিত্র থেকে আমরা বুজতে পারি যে , প্রদত্ত সম্পদ সাপেক্ষে X ও Y দ্রব্যের উৎপাদন N বিন্দুতে অর্জন করা সম্ভব নয় , কিন্তু M বিন্দুতে অর্জন করা সম্ভব । কিন্তু তা হবে অপূর্ণ নিয়োগ যা বেকারত্ব নির্দেশ করবে । পক্ষান্তরে I , J , K বিন্দুতে সম্পদ সম্পূর্ণ নিয়োজিত তথা পূর্ণ নিয়োগ অবস্থা নির্দেশ করা হয় , এ
বিন্দুগুলোর যে কোনোটিতে সর্বোচ্চ উৎপাদন নির্দেশ করা যায় । তাই উৎপাদন সম্ভবনা রেখাকে অর্জনযোগ্য উৎপাদন সম্ভবনা সীমান্ত (Production Possibility Frontier বা PPF ) রেখা বলা হয় ।
খ. সম্পদের সল্পতার প্রেক্ষিতে দক্ষ ব্যবহার নির্বাচনঃ মানব জিবনে অসীম অভাব পূরণে যে স্বল্প বা সীমিত সম্পদ ও সুযোগ বিদ্যমান , তার দক্ষ ব্য্যহার ধারণাটি PPC রেখার মাধ্যমে উপলব্ধি করা যায় । চিত্র থেকে বোঝা যায়, AB উৎপাদন সম্ভবনা রেখা সম্পদের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে । AB রেখার মধ্যে I, J বা Kবিন্দুতে উৎপাদন করা হলে সম্পদ – এর দক্ষ বা পূর্ণমাত্রার ব্যবহার বোঝায় । M বিন্দুতে উৎপাদন করা হলে তা সম্পদের অদক্ষ বা অপূর্ণ ব্যবহার নির্দেশ করে ।